দেশেরসময় ,গাইঘাটা: চিকিৎসার নাম করে এক যুবতীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা। নক্কারজনক ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটায়। ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় এক হাতুড়ে ডাক্তার তথা প্রাক্তন তৃণমূল পঞ্চায়েত সভাপতি। অভিযুক্ত গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ফাঁকা চেম্বার একা পেয়ে জ্বরে আক্রান্ত যুবতীকে শারীরিক নির্যাতনের চেষ্টা। অভিযোগ এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় থানার দ্বারস্থ হয়েছে ওই নির্যাতিতা। গাইঘাটা এলাকার ঘটনা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় পরিচিত ডাক্তার ছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তির আবেদন জানিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, বহু বছর ধরে ওই যুবতী ও তাঁর পরিবারের লোকেরা সুব্রত সরকার নামক ওই চিকিৎসকে কাছে চিকিৎসা করাতেন। শনিবার সন্ধ্যায় টিউশন করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই যুবতী। ফেরার পথে জ্বর অনুভব করেন তিনি। জ্বর বেশি থাকায় ওই চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন যুবতী। সে সময় চেম্বারে কেউ ছিল না।
যুবতীর অভিযোগ, ওষুধ নিয়ে বেরোনোর সময় হঠাৎ অভিযুক্ত তাঁকে নিজের কাজে ডেকে নিয়ে জড়িয়ে ধরে। যুবতী ছাড়িয়ে বেরোতে গেলে তাঁকে জোর জবরদস্তি করতে থাকে ওই চিকিৎসক বলে অভিযোগ। এরপর ওই যুবতী কোনওভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে পরিবারের সদস্যদের ওই ঘটনা জানায়। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত সুব্রত সরকার তৃণমূলে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। এরপরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ধৃতের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গাইঘাটা থানার ওসি জানিয়েছেন, আমাদের কাছে যুবতী অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি পদে নেই। তবে এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব ছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একজন চিকিৎসক হয়ে এরকম ঘটনা ঘটনায় সমালোচনায় সরব হয়েছে প্রত্যেকেই। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।