দেশের সময় , গাইঘাটা : ফুলশয্যার রাতেই নববিবাহিতা বধূর উপর হামলা। চাঞ্চল্য উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায়৷ নববধূকে নৃশংস শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে বরের প্রাক্তন প্রেমিকার বিরুদ্ধে। ফুলশয্যার রাতেই সরাসরি হাত দিয়ে নতুন বউয়ের স্তন ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার অন্তর্গত কুলঝুটি এলাকায়। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধৃত মহিলার নাম চন্দনা সরকার৷ সে গাইঘাটা থানার শিমুলিয়া কলোনি এলাকার বাসিন্দা৷ এদিকে ওই নববধূর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোস্টাল থানা এলাকায়। সোমবার তাঁর বিয়ে হয় গাইঘাটার কুলঝুটির বাসিন্দা বরুন মণ্ডলের সঙ্গে। বুধবার ছিল বৌভাতের অনুষ্ঠান। সেই উপলক্ষে অনেক নিমন্ত্রিত সেখানে এসেছিলেন৷ অনুষ্ঠানে আসেন অভিযুক্ত মহিলা চন্দনা সরকারও।
এরপর রাত প্রায় একটা নাগাদ বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষ করে নবদম্পতির ফুলশয্যার ঘরে যাওয়ার ঠিক আগেই নতুন বউকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে নিয়ে যায় ওই মহিলা৷ তাঁকে বলে, তাঁর স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে৷ এরপর দু’জনের ফুলশয্যায় আপত্তি জানায় চন্দনা। নববধূ সেকথা না মানায় নতুন বউয়ের দুটি স্তন টেনে ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে ওই মহিলা। স্তন দিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করে।
নতুন বউয়ের চিৎকার শুনে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা ছুটে আসে। বরুণ বাধা দিয়েও হার মানে আসুরিক বলের কাছে। নতুন বউয়ের আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। এসে কাণ্ড দেখে হতবাক সকলে। ততক্ষণে রক্তাক্ত অবস্থা তরুণী। বাড়ির সকলের প্রচেষ্টায় উন্মত্ত প্রাক্তন প্রেমিকার হাত থেকে নববধূকে বাঁচানো সম্ভব হয়।
রাতেই চন্দনার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ জানা গেছে, অভিযুক্ত চন্দনা বিবাহিত। তার দাবি, ওই যুবকের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে সে। সম্প্রতি তাঁর বিয়ে ঠিক হতেই আপত্তি জানায় চন্দনা। এরপরই বদলা নিতে নতুন বৌয়ের স্তন ছিঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে সে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ওই মহিলাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলে। সেখানে বিচারক তার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।তবে ব্যর্থ প্রেমের এমন প্রতিহিংসার রূপ দেখে শিউরে উঠছেন সকলে।