দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গলায় মালা, কপালে টিপ, ঠোঁটে লিপস্টিকের রঙিন ছোঁয়া, হাতে চুড়ি, চুলে ফুলের বাহার, আবার কারও হাতে রয়েছে ফুলের তোড়া।
কিশোরী – তরুণীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাজগোজে তরুণরাও পিছিয়ে নেই। সবাই নিজের ভালো পোশাকটি পরে পরিপাটি হয়ে একত্রিত হওয়ার ‘কারণ একটাই।
বিয়েতে ইচ্ছুক তরুণরা খোঁজেন উপযুক্ত পাত্রী, একইভাবে তরুণীরা খোঁজেন পাত্র। তাই আগামীর রঙিন সংসারের সুখস্বপ্নে বিভোর লাজুক হাসিমুখের তরুণ-তরুণীদের দেখা মেলে ওপার বাংলার দিনাজপুরের মিলনমেলায়৷
এখানে।এই মেলা তো শুধু মেলা নয় এ হল মিলনমেলা।
বাঙালির বারো মাস জুড়ে লেগে থাকে বিভিন্ন রকমের মেলার আয়োজন। এইরকমই ব্যতিক্রমী এক মেলা দেখা গেল ওপার বাংলার দিনাজপুরে ৷ শারদীয়া উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মেলা। গ্রামীণ এই মেলায় আদিবাসী কিশোরী-তরুণীরা আসেন সেজেগুজে।
ব্যতিক্রমী এই মেলা বসে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায়। এই মেলাটি মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মিলনমেলা হিসেবেই পরিচিত। মেলায় যাওয়া মানুষের অধিকাংশই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সদস্য। তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা স্বজনদের সঙ্গে এখানে মিলিত হন, আনন্দে মাতেন।
মেলার দোকান থেকে নানারকম কেনাকাটা করেন। তবে এই মেলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ যে পাত্র-পাত্রী খোঁজা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দুর্গাপূজো শুরুর দিনে মেলা শুরু হলেও তা জমে ওঠে দশমীর পরদিন থেকে, চলে লক্ষ্মীপূজো পর্যন্ত। শনিবার ছিল মেলার শেষ দিন। মেলায় উপচে পড়া ভিড় ছিল আদিবাসী জনগোষ্ঠীর।
মেলা ঘিরে বসে মাটির তৈরি খেলনা ও নানা পদের মিষ্টিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্রের দোকান। বিয়েতে ইচ্ছুক তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ও হাসিঠাট্টায় মেলা সবসময় প্রাণচঞ্চল হয়ে থাকে। কাউকে দেখা যায় ভিড়ের মধ্যে নিজেদের একান্ত আলাপ সেরে নিতে। কিছুটা বয়স্ক দর্শনার্থীরা কেনাকাটা করছেন অথবা স্বজনের সঙ্গে গল্প করছেন। কেউ আবার কিছুক্ষণ মিষ্টির স্বাদে ডুবে থাকতে ভিড় করেছেন মেলা প্রাঙ্গণের দোকানে।