দেশের সময় , বনগাঁ: ভারতে ঢুকে নকল পরিচয়পত্র তৈরি করে থাকার অভিযোগ। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশেই থাকেন। বাকি চার জন থাকেন দিল্লিতে। বাংলাদেশে বসবাসকারী ওই ব্যক্তির নাম নান্নু মৃধা। তাঁর তিন মেয়ে। তাঁরা আগেই বাংলাদেশ থেকে এসে দিল্লিতে থাকছিলেন। তাঁদের থেকে উদ্ধার হওয়া নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বনগাঁ হয়ে বাংলাদেশ ফেরার পরিকল্পনা ছিল। তার আগেই গ্রেপ্তার করা হয়।
নান্নুর দাবি, তিনি বাংলাদেশের জালকাঠি জেলার নলসিটি থানা এলাকায় থাকেন। তিন চারদিন আগে তিনি মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশ থেকে আসেন। তবে মেয়েরা স্থানীয় বাসিন্দা বলেই দাবি নান্নুর। তিনি জানান, এখানে বেড়াতে এসেছেন।
যদিও এ দিন পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর প্রিজ়ন ভ্যানে বসে নান্নু যখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন, তাঁর এক আত্মীয় বারবার মুখ চেপে ধরছিলেন। তাঁদের এই আচরণে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি সত্যিই কিছু আড়াল করার চেষ্টা করছে এই পরিবার?
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে চার জন বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে এসে দিল্লিতে বসবাস শুরু করেন। অভিযোগ, সেখানেই নকল নথিকে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করেন। শনিবার প্রথমে তাঁদের আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয়।
বনগাঁ মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, ‘মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সঙ্গে দু’জন বাচ্চাও আছে। নান্নু মৃধা থাকেন বাংলাদেশ। তাঁর বিরুদ্ধে ১৪ ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে ১৪ সি ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, মেয়াদ উত্তীর্ণ ভিসা নিয়ে ভারতে থাকা, ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করার অভিযোগে এই ধারা দেওয়া হয়। ১৪ ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী যে সব অপরাধ শাস্তিযোগ্য, তাতে উসকানি দেওয়ার জন্য ১৪ সি ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা করা হয়।
সরকারি আইনজীবী সমীর দাস জানান, নান্নুর মেয়েরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসেন এবং দিল্লিতে থাকতে শুরু করেন। সেখানে থাকার পর কাগজপত্র তৈরি করেন। নান্নুকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্তকারীরা জানতে চায়, কী ভাবে তাঁরা এসেছিলেন, কী উদ্দেশে এসেছিলেন।