দেশের সময়, কলকাতা : রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার শঙ্কর আঢ্যর সঙ্গে যোগ রয়েছে, এমন বেশ কিছু জায়গায় মঙ্গলবার হানা দিয়েছিল ইডির তদন্তকারী দল। সেই তালিকায় ছিল মারকুইস স্ট্রিটের ১১/১এ ঠিকানাও। সেখানে রয়েছে আঢ্য ফরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থার অফিস। এই বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থার থেকে রাতে প্রচুর বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা।
ওই অফিস থেকে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতীয় মুদ্রায় তা হিসেব করলে হয় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ইডির তদন্তকারী দলের অফিসাররা এখনও রয়েছেন মারকুইস স্ট্রিটের ওই বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের অফিসে।
এদিন দুপুর প্রায় ১২টা নাগাদ ইডির তদন্তকারী অফিসাররা পৌঁছান মারকুইস স্ট্রিটে। এদিন রাত ১০টা পর্যন্ত পাওয়া খবর তখনও ইডির টিম সেখানে রয়েছে। এদিন মারকুইস স্ট্রিটের এই অফিস ছাড়াও কলিন্স লেনে ত্রিনয়নী ফরেক্স, চৌরঙ্গী লেনে এসআর ফিনান্স প্রাইভেট লিমিটেডেও হানা দেয় ইডির টিম। এই সবগুলি জায়গায় রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত শঙ্কর আঢ্যর সঙ্গে সম্পর্কিত বলে ইডি সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার বনগাঁর তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর একাধিক বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের সংস্থা রয়েছে। আদালতে এর আগে ইডি জানিয়েছিল, রাজ্যে মোট ১৯টি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবসা রয়েছে শঙ্কর আঢ্যর। যার মধ্যে বেশিরভাগই সীমান্তবর্তী এলাকায় বলে আদালতে জানিয়েছিল ইডি। এসবের মধ্যেই সোমবার দুপুর থেকে হানা দিয়ে মারকুইস স্ট্রিটে শঙ্করের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের অফিস থেকে প্রচুর পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রা উদ্ধার করল ইডি।