দেশের সময়, বনগাঁ: বনগাঁয় শুরু পুজো-প্রস্তুতি পর্ব। রথ পেরোলেই পটুয়া পাড়ায় বাজে পুজোর বাদ্যি। যদিও, তার আগে থেকেই শুরু হয় ৷কাজ। তবে, আক্ষরিক অর্থে, রথযাত্রা থেকে বাঁধা হয় কাঠামো। আবার, কারও কারও ওয়ার্কশপে এই সময় কাঠামো বাঁধার কাজ শেষ। চড়ানো হয় খড়।
এই প্রসঙ্গে শিল্পী সেন্টু ভট্টাচার্য্য বলেন, বড় বড় ব্যানারের পুজোগুলো সাধারণত রথের অনেক আগেই বায়না পেয়ে যায়। নামিদামি শিল্পীরা আগেই বুক হয়ে যায়। কিন্তু, এখন রথের পর মোটামুটি মাঝারি এবং ছোটোখাটো পুজোগুলো ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে থাকে। বায়না আসতে থাকে। প্রতিমা শিল্পীদের কথায়, বড় পুজোর থিম এবং প্রতিমা সব কিছু অনেক আগেই ঠিক থাকে।
থিমের বিষয় আগের বছর পুজোর সময় থেকে আলোচনা করে রাখা হয়। এবং শিল্পীদের আগাম দেওয়া থাকে। এদিকে, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি বছরের মত চলছে থিমের লড়াই। সেই সঙ্গে চলছে প্রতিমা গড়ার প্রতিযোগিতাও। চলছে ইছামতি নদীর এপার বনাম ও পারের পুজোর থিমের লড়াই। ইতিমধ্যে থিম ঠিক করে ফেলেছে অধিকাংশ পুজো মণ্ডপ। প্রতিবারের মত এবারও কোন মণ্ডপ বেছে নিয়েছে সমসাময়িক ঘটনা। আবার কোন মণ্ডপ গুরুত্ব দিয়েছে সেই স্থানীয় শিল্পকলাকে। আবার, কেউ কেউ তুলে এনেছে পৌরাণিক কাহিনী। আবার বহু বনেদি বাড়িতে কার্যত একপ্রকার নিয়ম রক্ষা করতেই করা হয় পুজো। সেক্ষেত্রে, একেবারে অন্য ফ্রেমে পুজো দেখে শহরবাসী।খোলা মণ্ডপ। একচালা প্রতিমা। আভিজাত্য। দেখুন ভিডিও
প্রতিমা শিল্পীরা জানাচ্ছেন, করোনা কাল কাটিয়ে এবছর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে তাঁদের স্টুডিও। ব্যস্ততা বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে বায়নাও। এই প্রসঙ্গে মৃৎশিল্পরা জানাচ্ছেন রথের দিন থেকে বায়না আসা শুরু হয়। এবার, ধীরে ধীরে বাড়বে অর্ডারের সংখ্যা। তবে, গত দু বছরের তুলনায় কিছুটা ভাল। এখনও অর্ডার আসা বাকি রয়েছে। আগস্ট পর্যন্ত আসবে অর্ডার।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বনগাঁ শহর এলাকায় ৩৮-এর কাছাকাছি শিল্পীর ঘর রয়েছে। এছাড়া গ্রাম অঞ্চলেও বেশ কিছু প্রতিমা শিল্পী রয়েছেন ৷