কলকাতা : বাগবাজার হালদার বাড়ির পুজো শহরের অন্যান্য বনেদি বাড়ির পুজোগুলির থেকে অনেকটাই আলাদা। এখানে দেবীমূর্তি কষ্ঠিপাথরের। মা এই বাড়ির গৃহদেবতা হিসেবে নিত্য পূজিত হন।
দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে একটু আলাদাভাবে বিধি মেনে পুজো করা হয় মহিষাসুরমর্দিনীর মূর্তির। বহু প্রাচীন এই মাতৃমূর্তিতে দুর্গার দু’পাশে একটু নীচের দিকে রয়েছেন তাঁর দুই সখী জয়া আর বিজয়া। মাথার উপরে রয়েছে মহাকাল। সালঙ্কারা দুর্গা পদ্মের উপর আসীন। জানা যায় , এই মূর্তি নাকি বহুবছর আগে ওড়িশার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল।
অত্যন্ত গোঁড়া পরিবার হলেও পুজো শুরুর সময় থেকেই বাড়ির সব মেয়েদের গঙ্গার ঘাটে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যেতে হত। এখনও সেই নিয়ম চলছে।
দশমীর দিনঢাক বিসর্জন হয় এই বাড়িতে। সেই সময় বাড়ির এয়োরা মাছ খেয়ে পান খেয়ে হলুদ জলে ভেজানো কড়ি দিয়ে ঢাক বরণ করেন। সেই সঙ্গে ঢাকিকে ফলমূল, মিষ্টি, কাপড় দেওয়া হয়। ঢাক বিসর্জন হয়ে গেলে ঢাকে ফের কাঠি দেওয়া নিষেধ।
প্রচলিত রীতি মেনে দশমীর দিন এই বাড়িতে মাছ রান্না হয়। মাছ-ভাত খেয়ে মুখে পান দিয়ে তবেই মেয়েরা ঢাক বিসর্জন করতে পারেন। দেখুন ভিডিও
ফি-বারই গঙ্গায় হালদার বাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জনকে ঘিরে মানুষের উৎসাহ-উন্মাদনা থাকে চোখে পড়ার মতো।
এবারেও তার অন্যথা হল না। নিয়ম তিথি মেনে বিজয়া দশমীর দিনে ঘরের মেয়ে উমাকে কৈলাসের উদ্দেশে পাঠালেন হালদার বাড়ির সদস্যরা। কলকাতা থেকে ক্যামেরায় জয়ন্ত সাউয়ের সঙ্গে অর্পিতা বনিক দেশের সময়