অপির্তা বনিক, বনগাঁ: শোনা যায় দত্তদের হাত ধরেই বনগাঁর দূর্গা পূজোর প্রচলন৷ কালনীর দত্ত ছিলেন প্রতাপাদ্যিত্যের রাজস্ব সংগগ্রাহক ৷ বনগাঁর দত্ত পরিবারের প্রতিষ্ঠা করেন তিনি ৷ যশোরের বাগ আচঁরা গ্রামে তাঁর পূর্বপুরুষদের ভিটেছিল ৷সেখান থেকে তার বংশধরেরা প্রথমে সুখ পুকুরিয়া গ্রামে আসেন৷ তারপর বনগাঁয় বসবাস শুরু করেন ৷

এই দত্ত পরিবার যেহেতু দুর্গা পুজো শুরু করেন ,তাই এই পরিবারকে সম্মান জানাতে তাঁদের প্রতিমা বিসর্জনের পরেই এলাকার বাকি দুর্গামূর্তি নিরঞ্জন করা হত সে সব অতীত হয়েছে অনেক আগেই গল্পকথা এখন। সেই জৌলুসও ম্লান। তবে দত্তদের পূজোর ইতিহাস এলাকার মুখোমুখে ফেরে সেটাই শুনে নেওয়া যাক৷ দেখুন ভিডিও

বনগাঁর দত্তবাড়ির এই পুজো নিয়ে নানা কাহিনী রয়েছে দত্তবাড়ির দুর্গার বিড়াল হাতি৷ অর্থাৎ দূর্গার হাত দুটি বিড়ালের মতো ছোট আকৃতির ৷শোনা যায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সঙ্গে দত্ত পরিবারের যোগাযোগ ছিল প্রতি বছর পুজোতে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত বাড়িতে যেতেন। একবার পরিবারের এক সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজবাড়িতে পুজো বন্ধ থাকে সেই সময় রাজবাড়ির বড়মা স্বপ্নাদেশ পান দেবীর বিড়াল হাতি রূপের ৷তখন থেকেই সেই রূপেই দত্তবাড়িতে দুর্গা পুজো হয় ৷

তখন মহালয়া থেকে পুজো শুরু হতো বাড়ির একটি শুভ লক্ষণ যুক্ত ঘরে বস্তু চন্ডিঘাট দশমীতে নৌকায় প্রতিমা বিসর্জন হতো ইছামতি নদীতে এই বাড়ির ঠাকুর বিসর্জনের পরেই এলাকার অন্য ঠাকুর বিসর্জন দেওয়া হতো এসব আজ গল্পকথায় পুজোর অস্তিত্ব টিকে রয়েছে। তবে সে পুজোর জৌলুস আর নেই। বর্তমানে বনগাঁর কয়েকটি পুজো পশ্চিমবঙ্গে অন্যতম সেরা পুজোগুলোর তালিকায় ঢুকে গিয়েছে তবে যাদের হাত ধরে বনগাঁর দুর্গাপুজোর শুরু সেই পুজোটির আজ অস্তিত্ব সংকটে ৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here