দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেখতে দেখতে পুজো শেষ। শুক্রবার দুপুর থেকেই প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে। নিরঞ্জনের পালা চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত।

দশমীর দিন সকাল থেকেই শুভেচ্ছা বিনিময়ের পালা শুরু হয়েছে। এই দিনটি রাবণবধ করে বিজয়েরও বটে। অবাঙালিরা দিনটিকে পালন করে ‘দসেরা’ হিসেবে। দেশের সময় আনঅনলাইন সেই শুভ বিজয়ের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাচ্ছে পাঠকদের। বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে বিজ্ঞাপনদাতা এবং হিতৈষীদেরও।

নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে এবারের মতো গৌরীকে বিদায়। চিরাচরিত প্রথা মেনে মাঝগঙ্গায় নিরঞ্জন হল শোভাবাজার রাজবাড়ির দশভুজার। আবার একটা বছরের অপেক্ষা।

মাঝগঙ্গায় সরে গেল জোড়া নৌকা। উমার শ্বশুরবাড়িতে ফেরার বার্তা নিয়ে উড়ল নীলকণ্ঠ পাখি। ঘরের মেয়েকে এবারের মতো বিদায়। শোভবাজার রাজবাড়ির মহাপুজোর মতোই নিরঞ্জন-পর্ব এমনই দর্শনীয়। নিজস্বতায় স্বতন্ত্র।তবে এবছর আসল পাখি না উড়িয়ে থার্মোকলের প্রতীকি পাখি ওড়ানো হয়। মহাদেবের কাছে বার্তা দেওয়া, যে কৈলাশে ফিরছে উমা। নীল সাদা বেলুনে ওড়ানো হয় পাখি। 

দশমীর দিনে কলকাতাকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ। বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে শহরের একাধিক ঘাটে। প্রায় চার হাজারেরও বেশি প্রতিমা বিসর্জন হয় কলকাতার গঙ্গাঘাটগুলিতে। তবে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে চারদিন নির্দিষ্ট করে দেওয়ার কারণে একদিনে খুব বেশি প্রতিমা নিরঞ্জন হবে না। বিসর্জনের সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সতর্ক প্রশাসন। বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। শহরজুড়ে চলছে পেট্রোলিং।

পুজোর পাঁচদিন সুদক্ষ হাতে ট্রাফিকের গতিও সচল রেখেছিল কলকাতা পুলিশ। যানজটের চিত্র সেভাবে চোখে পড়েনি কোথাও। দুর্গাপুজোর মাসখানেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল এ নিয়ে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, বিসর্জনের দিনে যাতে কোনও সমস্যা না তৈরি হয়, সেই কারণেই নিরাপত্তা বলয় আরও আঁটোসাঁটো করতে বলেছিলেন তিনি। সেই মতোই বাবুঘাট, আহিরিটোলা, জাজেস ঘাট, বাগবাজার ঘাট, নিমতলা ঘাট সহ অন্য ঘাটগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। অন্যদিকে, নিউ টাউনের দেবীঘাটেও মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, উৎসবের মরশুমে কলকাতায় জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই সতর্ক করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর সেই কারণেই বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল সর্বত্র। দুর্গাপুজোর আনন্দের মাঝে যাতে নাশকতা ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছিল। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার মধ্যেই প্রতিমা দর্শন করেছেন লাখ লাখ মানুষ। দর্শনার্থীরা কোভিড বিধি মেনে চলছেন কিনা সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে। বারবার মাইকিং করা হয়েছে। মহামারী বিধি ভঙ্গের জন্য আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেও ফেস মাস্ক না পরার অপরাধে ২০৮ জনকে আটক করা হয়েছিল। প্রকাশ্যে থুতু ফেলার অপরাধে আটক করা হয় ১৫ জনকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here