দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এবার দেড় হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাজ্যে নতুন করে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫২৪ জন। মৃত্যু হয়েছে একজনের। পরিসংখ্যানের হিসেবে নতুন করে রাজ্যে ফের থাবা বসাচ্ছে করোনা। বুধবার এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ১৪২৪। মৃতের সংখ্যা ছিল দুই।

রাজ্যের মধ্যে শুধু কলকাতাতেই দৈনিক আক্রান্ত পাঁচশোর উপর। পাঁচশোর কাছাকাছি পৌঁছেছে উত্তর ২৪ পরগনায়। দৈনিক আক্রান্তের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হারও। 

রোগের এই বাড়বাড়ন্তে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জোর দেওয়া হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার-সহ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে।  করোনার গ্রাফ যে ওপরের দিকে লাফ দিতে চলেছে সেই ইঙ্গিতটা পাওয়া গেছিল চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার। ওইদিন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৫৪ জন। সোমবার এই সংখ্যাটা ছিল ৫৫১।  

এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ২৯ হাজার ৪২৫ জন। রাজ্যে নতুন করে যত সংক্রমিত হয়েছেন, তার মধ্যে অধিকাংশই কলকাতার অধিবাসী। মহানগরে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২১ জন। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে পিছিয়ে নেই উত্তর ২৪ পরগনাও। ওই জেলায় আক্রান্ত ৪৩৫ জন। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির কোভিড পরিস্থিতি প্রশাসনের নজরে রয়েছে। ওই তিন জেলায় দৈনিক আক্রান্ত যথাক্রমে ১১৫ জন, ৬৯ জন, ৬১ জন। প্রসঙ্গত, রাজ্যে শেষ বার দেড় হাজারের উপর দৈনিক আক্রান্ত নথিভুক্ত হয়েছিল গত ৪ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন এক হাজার ৫২৩ জন।

রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২১৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ৮২৭ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ১২.৮৯ শতাংশ। রাজ্যে বর্তমানে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে ছ’হাজার ৯৯৪।

 করোনা নিয়ে কার্যত বেপরোয়া মনোভাবই রোগটাকে বাড়তে সাহায্য করছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। পথে বা বাস-ট্রেনে মাস্কের ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে। সেই সঙ্গে নেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার তাগিদ। আবার বুস্টার ডোজেও অনীহা দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, এখনই যদি সতর্ক না হওয়া যায় তবে পরিস্থিতি কিন্তু হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।

যেখানে প্রতিষেধক নেওয়ার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া এবং প্রয়োজনে এ বিষয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের কথা বলা হয়েছে। বয়স্ক এবং যাদের কো-মর্বিডিটি আছে তাঁদের ক্ষেত্রে দুটি ভ্যাক্সিন-সহ বুস্টার ডোজে জোর দেওয়া হয়েছে।

ভিড় এড়ানো এবং মাস্ক ব্যবহার-সহ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে করোনা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার।  জনসমাগম হবে এরকম জায়গায় যাঁরা যাবেন তাঁদের ক্ষেত্রে যেমন ভ্যাকসিনের ডোজ সম্পূর্ণ করার কথা বলা হয়েছে তেমনি তাঁরা যেন উপসর্গহীন থাকেন সেই বিষয়টিও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here