দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কন্যাকমারী থেকে কাশ্মীর, দীর্ঘ ৩৫০০ কিলোমিটার পথ পদব্রজে বেরিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী । কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ । কর্নাটক পেরিয়ে তেলঙ্গানায় পৌঁছেছে কংগ্রেসের এই পদযাত্রা। আর বুধবার হায়দরাবাদে কংগ্রেসের এই যাত্রায় যোগ দেন অভিনেত্রী পূজা ভাট ৷

কংগ্রেসের পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছেন রাহুল গান্ধী । এরই মধ্যে গুজরাতে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগেই ঘোষণা হয়েছে হিমাচলপ্রদেশের ভোটের দিন তারিখ। তবে দুই রাজ্যে কংগ্রেসের ভোটের প্রচারে বিস্তর ফারাক আছে।

পাহাড়ি রাজ্য হিমাচলে বাকি সব দলের মতো কংগ্রেস সভা সমাবেশে জোর দিচ্ছে। কিন্তু গুজরাতে হাত চিহ্নের নেতারা জোর দিচ্ছেন মূলত মহল্লা বা পাড়া সম্পর্কের উপর। ভোটের প্রচারেও কংগ্রেস তাই বড় সমাবেশের তুলনায় পদযাত্রাকেও হাতিয়ার করেছে।

গুজরাতে টানা ২৭ বছর ক্ষমতায় বিজেপি। গেরুয়া শিবিরকে এবার ক্ষমতাচ্যুত করতে কংগ্রেস রাজ্যব্যাপী পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছে। দলের লক্ষ্য, প্রথম দফার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির আগে এই যাত্রা নিয়ে রাজ্যের পাঁচ কোটি মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাওয়া।
যাত্রা পথে গুজরাত কংগ্রেস ১৪৫টি ছোট সভা এবং ৯৫টি মাঝারি মাপের জনসভার আয়োজন করছে। সেখানে মানুষের কাছে কংগ্রেস নেতারা মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলের সংকল্প-পত্র পাঠ করছেন। তাতে বলা আছে দল ক্ষমতায় এলে কী কী করবে।

এর পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি প্রচারেও জোর দিয়েছে দল, যা এতকাল বিজেপি ও বামদলগুলি করত। প্রধান বিরোধী দলের এই দুয়ারে প্রচার কৌশল সম্পর্কে নিজের দলকে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস বড় সভা সমাবেশ না করে চুপচাপ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।

এই প্রচার কৌশলে কংগ্রেসের লাভ হবে কিনা তা ভোটের ফলে জানা যাবে। অধিকাংশ প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় বলা হয়েছে, লাভ দূরে থাক, কংগ্রেসের আসন এবার কমে অর্ধেক হয়ে যাবে। তবে ইতিমধ্যে তাদের প্রচার নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বাকিদের সমীহ আদায় করেছে টানা ২৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি।

কংগ্রেসের বক্তব্য, ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই সঙ্গে প্রচারে ছিল তিন নতুন মুখ, হার্দিক প্যাটেল, জিগনেশ মেবানী ও অল্পেশ ঠাকুর। হার্দিক ও অল্পেশ এখন বিজেপিতে। রাহুল ব্যস্ত ভারত জোড়ো যাত্রায়। ফলে দলে তারকা মুখের অভাব প্রকট। আর আর্থিক সংকট তো আছেই। বড় সমাবেশ, রোড শো ইত্যাদির আয়োজন করার মতো আর্থিক সঙ্গতি কম।

প্রকাশ্যে ভুল বোঝানোর কথা বললেও বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদী মনে করছেন, কংগ্রেসকে খাটো করে দেখা ঠিক হবে না। গুজরাত বিজেলিকেও বাড়ি বাড়ি যেতে বলেছেন মোদী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here