দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলায় এসেছেন অমিত শাহ। শিলিগুড়ির সভা থেকেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। এদিকে আবার এই দিনেই সরকাররে ভুল-ক্রুটির জন্য ক্ষমা চাইতে দেখা গেল মমতাকে।
এক বছর আগে এই মে মাসের ৫ তারিখেই বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূল সরকারের ৷ এক বছরের বর্ষপূর্তিতে ফের রাজ্যবাসীর কাছে ফের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো ৷
একইসঙ্গে সরকারের ‘ভুল-ক্রুটির’ জন্য রাজ্যবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিলেন তিনি। এদিকে তৃণমূল ভবনে মমতা যখন সাংবাদিক বৈঠকে বসেছেন, তখন শিলিগুড়ি থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ৷ অমিতের দাবি, “তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেও এক ফোঁটাও শোধরাননি দিদি”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মমতার শপথ গ্রহণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজ্যের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাসের ছবি ধরা পড়ে। তবে, বগটুই গণহত্যা থেকে শুরু করে বহরমপুরের কিশোরীকে নারকীয় হত্যা, সরকারের বর্ষপূর্তির মুখে অস্বস্তি বেড়েছিল শাসক শিবিরের।
এই সুযোগে আক্রমণের রাস্তায় হেঁটেছে বঙ্গ বিজেপিও। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে নতুন কে সুর চড়িয়েছে সুকান্ত-শুভেন্দুরা। কলকাতায় পড়েছে ‘ভোট পরবর্তী হিংসার’ নামে পোস্টার। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে, একেবারে মমতা সরকারের বর্ষপূর্তির দিনে রাজ্যে শাহ আগমণ যে নতুন করে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই প্রেক্ষাপটে মমতার ‘ভুল স্বীকার’ নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন,”আমি এখনও মনে করি ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন, কিন্তু কাজের সুযোগ যেন ঠিক মতো পাই। কাজ করতে অনুপ্রেরণা দেবেন। মানুষ মাত্রই ভুল হতেই পারে। নেতাজী তাঁর তরুণের স্বপ্ন বইয়ে লিখেছিলেন ‘Right to Make blunders’ অর্থাৎ ভুল করাও একটা অধিকার। যদি কোনও ক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়ে আমরা কেউ কোনও ভুল করে থাকি, কারও কোনও খারাপ লেগে থাকে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী, আমি দুঃখিত, আমি মর্মাহত।
মানুষ সবসময় আমাদের শুধরে দেবে সেটাই আমরা চাই। আমি আমার দলীয় সহকর্মীদের কাছে এই বার্তাই দিয়েছি। বাংলার সরকার উন্নয়নের পথে আছে, মানুষের সাথে আছে। আমরা যাতে সবসময় ভালো কাজ করতে পারি, মানুষ সবসময় তাতে সাহায্য করবেন এই আশা রাখি”।