দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তাইওয়ানে কি এবার সত্যি সত্যি সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবে চিন? মার্কিন সংসদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই সেই সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে৷

মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে ঘিরে চিন-তাইওয়ান সীমান্তে হাওয়া গরম।ইতিমধ্যেই তাইওয়ানের কাছাকাছি এলাকায় নিজেদের বেশ কয়েকটি যুদ্ধ বিমান পাঠিয়ে দিয়েছে চিন৷ এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেল, তাইওয়ান সীমান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে চিনের একের পর এক ট্যাঙ্ক এবং সামরিক অস্ত্রশস্ত্র বহনকারী সাঁজোয়া গাড়ি৷

পেলোসিকে আগেই হুঙ্কার দিয়েছে চিন ৷ তাঁর সফরের আগে থেকেই তাইওয়ানের আশপাশে চিনের যুদ্ধ ট্যাঙ্ক সরবরাহ করা হচ্ছিল, যা দেখে শিহরিত হয়েছিলেন গোটা বিশ্বের মানুষ। ফের কি যুদ্ধের দামামা বাজতে চলেছে? মঙ্গলবার রাত থেকেই এই আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে শান্তিপ্রিয় মানুষের।

এই উত্তপ্ত বাতাবরণের মধ্যেই তাইওয়ানে পা রেখেছেন মার্কিন হাউজ স্পিকার পেলোসি। তাঁর আগমনের সময়
তাইওয়ান বিমানবন্দরের সমস্ত আলো নিভে গিয়েছিল।
টর্চের আলোয় অতিথিকে স্বাগত জানিয়েছে তাইপেই। সূত্রের খবর পেলোসি তাইওয়ান আসতেই এই ‘স্বশাসিত’ দ্বীপরাষ্ট্রটির আকাশসীমায় চক্কর কাটতে শুরু করেছে অন্তত ২১টি চিনা যুদ্ধবিমান।

মার্কিন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পেলোসির অবস্থান জো বাইডেন, কমলা হ্যারিসদের ঠিক পরেই। তিনি যদিও জানিয়েছেন, এটি তাঁর ব্যক্তিগত সফর। কিন্তু বলা বাহুল্য, তাঁর তাইওয়ানে আসা মোটেই ভাল চোখে দেখেনি বেজিং। তাইওয়ানকে তারা বরাবরই নিজেদের অঙ্গ বলে দাবি করেছে। যদিও তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী মানুষজন চিনের আধিপত্য স্বীকার করেন না। পেলোসির তাইওয়ান সফরকে ঘিরে তাই আরও একবার আন্দোলিত হয়েছে বিশ্ব কূটনীতি। সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কূটনীতিবিদরা।

মনে করা হচ্ছে, তাইওয়ানের আকাশে যেভাবে সারেসারে চিনা যুদ্ধবিমান প্রবেশ করেছে, যেভাবে ছোট্ট এই দ্বীপরাষ্ট্র ঘিরে ফেলেছে চিনের যুদ্ধ ট্যাঙ্ক, তাতে যে কোনও মুহূর্তে বড় ঘটনা ঘটতে পারে। ফের বেজে উঠতে পারে যুদ্ধের দামামা। তাইওয়ান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াশিংটন-বেজিং ঠান্ডা লড়াই জারি। শত হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও মার্কিন স্পিকারের তাইওয়ান সফরে চিনের লালফৌজ ‘হাই অ্যালার্ট’-এ রয়েছে। এখন দেখার পেলোসি সফরের জল কত দূর গড়ায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here