পার্থ সারথি নন্দী: করোনা কালে দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দি শিশুরা। সমবয়েসীদের সঙ্গে খেলার সুযোগও তেমন নেই তাঁদের, এর জেরে চাপ পড়তে পারে শিশুমনের ওপর। তাই সেই সব শিশুদের কথা মাথায় রেখে ১৪ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক শিশু দিবস ও জওহরলাল নেহরুর ১৩২ তম জন্মদিন উপলক্ষে আঁকা প্রতিযোগিতার আয়োজন করল উত্তর ২৪পরগনার বনগাঁর জয়পুর আমরা ক’জন কালচারাল সোসাইটি।
আয়োজকরা জানান, রবিবার শিশুদিবস উপলক্ষে জয়পুরে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় প্রায় ৬০০ জন যোগ দিয়েছিলেন। দু’দিনের অনষ্ঠানে চলে নাচ, গান, ছড়া কবিতা, আবৃত্তি ৷
বনগাঁর পুর প্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন, অনূর্দ্ধ পাঁচ বছরের প্রায় ৬০০ শিশুর হাতে এদিন রংপেন্সিল সহ জ্যামিতি বক্স তুলে দেওয়া হয়।
এ দিন আয়োজকদের তরফে অমিত দাস,সোমেন হালদার, রবিন্দ্রনাথ ঘোষ ,গৌর বসু , লালটু মিস্ত্রিরা জানান, এ দিন শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ১৩২ টি প্রদীপ যার সাহায্যে স্থানীয় শিশুরা জওহরলাল নেহরুর প্রতীকী ছবি ফুটিয়ে তোলেন ক্লাব প্রাঙ্গণে। ক্লাব সদস্য অমিত দাস বলেন,‘‘আমাদের এই এলাকায় সাংস্কৃতিক চর্চাকে আরও বেশি ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এই নতুন প্রজন্মের শিশু মনে সাংস্কৃতিক চেতনা জাগানোর লক্ষেই আমাদের এই উদ্যোগ।’’
দীর্ঘদিন পর বাড়ির বাইরে বেরোতে পেরে ছোটদের আনন্দ আর ধরে না। রংপেন্সিল হাতে পেতেই সাদা ক্যানভাস লাল,নীল ,হলুদ , সবুজ রঙে রঙিন হয়েউঠল নিমেষেই৷ কেউ আঁকল নেহেরু ,কেউবা গাছ,নদী , পাহাড়৷ আবার কেউ কিছু না এঁকেই অন্যের আঁকা দেখে খুশি হয়ে তাঁর সব রং দিয়ে দিল পাশের জনকেই৷ এভাবেই দিনভর অনুষ্ঠানে মাতল শিশু দিবসের জয়পুর৷
এদিন জয়পুর শিশু উৎসবে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলোরানী সরকার, তৃণমূল নেতা তথা বনগাঁ পুরপ্রশাসক গোপাল শেঠ, শ্রমিক নেতা নারায়ণ ঘোষ সহ বিভিন্ন নেতা।
অন্যদিকে, শিশুদের দেওয়াল অঙ্কনে পরিবেশ রক্ষা করার বার্তার মধ্য দিয়ে ২১ বর্ষ শিশু উৎসবের উদ্বোধন হল এদিন সকাল ১০ টায় অশোকনগর কল্যাণগড় কচুয়া মোড়ে ।
অশোকনগর কল্যাণগড় শিশু উৎসব কমিটির উদ্যোগে শিশু দিবস পালিত হল মহা সমারোহে । উৎসব কমিটির পক্ষে তনয় মজুমার জানান ২১ বছর এ পা দিল তাঁদের শিশু উৎসব উদযাপন৷ চলবে আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারী (২০২২)পর্যন্ত৷ এদিন অনুষ্ঠানে ১৭২ জন শিশু যোগদান করেন৷