দেশের সময়,বনগাঁ: এখন কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার। কারও হাতে সময় নেই। কারও অফিসের চাপ কেউ বা পরিবারে অসুস্থতা নিয়ে নাস্তানাবুদ। তাও যোগাযোগ হয়েছে যখন একটা রিইউনিয়ন করাই যায়। বছর ২০ পর একত্রিত হল সহপাঠীরা।
দূর দূরান্ত থেকে সেই স্কুলের বন্ধুরা এক হতেই আসল ছোট্ট পিয়ার খবর। ক্লাস ওয়ানের পিয়ার কঠিন রোগে পা দুটোই অচল। খবর আসতেই উদ্যোগী সহপাঠীরা। ট্রাই সাইকেলের জীবন নয়, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত হল আধুনিক জুতোর। নেওয়া হল ওর চিকিৎসার দায়িত্বও। আপাতত নিজের পায়েই স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখবে পিয়া। দেখুন ভিডিও
রবিবার ২৫টি দুঃস্থ স্কুল পড়ুয়ার হাতে শিক্ষা সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয়। বিশেষভাবে সক্ষম ছোট্ট পিয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হয়। সঙ্গে আরও দুটি শিশুর পড়াশুনোর যাবতীয় দায়িত্বভার নেয় সহপাঠী।
সহপাঠী বনগাঁ হাইস্কুলের ৯৮ সালের মাধ্যমিকের ব্যাচ। সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে সমস্ত বন্ধুরা একজোট হয়ে ছোট ছোট কাজ করার অঙ্গীকার নিয়েছে। এর আগে এবছর দূর্গাপুজোর তিনদিন বনগাঁ হাসপাতাল ও ভবঘুরে আবাস কেন্দ্রে দুপুরের খাবার বিতরণ করা ছাড়াও প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তির জন্য ট্রাই সাইকেল দিয়ে সহায়তা করেছে।
এভাবেই দুঃস্থ শিশুদের কাছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ও পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন সহপাঠীর সদস্যরা৷