চলতি বছরের শেষেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের রাজধানী পাটনায় হাড়হিম হত্যাকাণ্ড। শুক্রবার রাতে নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করা হলো এক হাসপাতাল মালিককে। নিহত গোপাল খেমকা স্থানীয় বিজেপি নেতা হিসেবেও পরিচিত। ২০১৮-তে ছেলের হত্যাকাণ্ডের রক্ত শুকোতে না শুকোতেই শুক্রবার রাতের পাটনায় বুলেটের নিশানায় এবার বাবা।
নামী ব্যবসায়ী ও বিজেপি নেতা গোপাল খেমকাকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থল, পাটনার অভিজাত গাঁধীময়দান এলাকা । রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ নিজের গাড়ি থেকে নামার মুহূর্তেই তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালায় বাইক আরোহী আততায়ীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় খেমকার।
খেমকা ছিলেন মাগধ হাসপাতালের কর্ণধার এবং ব্যাঙ্কিপুর ক্লাবের ডিরেক্টর। তাঁর বাসস্থান সংলগ্ন টুইন টাওয়ার আবাসনের সামনে, পনাশ হোটেলের লাগোয়া এলাকাতেই ঘটে এই নৃশংস হামলা।
ঘটনার পরপাটনা সিটি এসপি দীক্ষা কুমারী জানান, ‘‘৪ জুলাই রাত ১১টা নাগাদ গোপাল খেমকার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার খবর পাই। এলাকা ঘিরে তদন্ত চলছে। একটি বুলেট ও একটি কার্তুজের খোল উদ্ধার হয়েছে।’’
তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গোপাল খেমকার দাদা শঙ্কর খেমকা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ঘটনার পর তিন ঘণ্টা কেটে গিয়েছিল, তবেই এল পুলিশ!’’ তাঁর দাবি, ‘‘১১টা ৪০-এ ভাইকে গুলি করা হয়, কিন্তু পুলিশ আসে রাত ২টা ৩০ মিনিটে।’’
https://x.com/PTI_News/status/1941311500221809125?t=GG1r6L9b2Ryc5MCAdASdyQ&s=19
এ ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল জেডিইউ এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন পূর্ণিয়ার নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদব ওরফে রাজেশ রঞ্জন। টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘বিহার এখন অপরাধীদের স্বর্গ! নীতীশজি, দয়া করে বিহারকে ছেড়ে দিন!’’
পাপ্পু আরও লেখেন, ‘‘২০১৮-তে যদি গোপাল খেমকার ছেলের খুনিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতো, তবে আজ তাঁর প্রাণ যেত না। সরকার সেই সময় অপরাধীদের রক্ষাকবচ হয়ে উঠেছিল।’’
প্রসঙ্গত, গোপাল খেমকার ছেলে গুঞ্জন খেমকাকে ২০১৮ সালে একই রকমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই তদন্ত আজও ধোঁয়াশায় ঢাকা।
নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন ঘটনায় বিহারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে উঠছে প্রশ্ন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, খুনের উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।
:: স