দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলকে হারাতে জোট বাঁধল বিজেপি এবং সিপিএম৷ যার ধাক্কায় রীতিমতো পর্যুদস্ত হল শাসক দল৷ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই সামনে এল জোট রাজনীতির নয়া মডেল৷

নন্দকুমার-বহরমপুর কো অপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি প্রাইভেট লিমিটেড নির্বাচন ছিল রবিবার। এই সমবায়ের নির্বাচনে মোট আসন সংখ্যা ছিল ৬৩। সবক’টি আসনেই জয়ী হল পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও কমিটি। আর এই নিয়েই ফের ‘বাম-বিজেপি জোটের’ তত্ত্ব উঠে আসছে। এর মধ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমে ৪৫টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল। পরে আবার তা প্রত্যাহারও করে নিয়েছিল। উল্টোদিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বিরোধী পক্ষরা। পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও কমিটির নামে সমবায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিল তারা। সেখানে প্রথম পর্যায়ে যে ৫২ টি আসনে কমিটির প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করে। বাকি ১১ টি আসনের ভোটেও পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও কমিটির প্রার্থীরা নিজেদের দখল ধরে রাখতে সফল হন।

নন্দকুমার বহরমপুর কো অপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি প্রাইভেট লিমিটেডের প্রাক্তন সভাপতি শেখ হুশিয়ার রহমান বলেন, “৫২ টি আসনে আমরা আগে থেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে রয়েছি। আজ ওখানে ১১ টি আসনে ভোট হয়েছে।” সমবায়ের প্রাক্তন সম্পাদক অশোক কুমার দাসও বলছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই মঞ্চটি তৈরি হয়েছে।”
তবে এই নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তৃণমূল মুখপাত্র তথা পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা ও ব্লকস্তরে সেতুবন্ধনের দায়িত্বে থাকা কুণাল ঘোষ বলেন, “বড় কথা হল, তৃণমূলকে ঠেকানোর জন্য বিজেপি – সিপিএমকে প্রকাশ্যে হাত মেলাতে হচ্ছে। এই ধরনের ছোট ছোট নির্বাচনে যদি তারা হাত মিলিয়ে লড়ে, তাহলে তাদের বেআব্রু করতে আমাদের আরও সুবিধা হয়।”

কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী এদিন কুণাল ঘোষের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, “এখানে আমার অবিশ্বাসের কিছু নেই। তৃণমূল স্তরে কী হচ্ছে, তা কেউ বলতে পারে না। কারও নিয়ন্ত্রণে থাকে না এটি। কিন্তু তৃণমূল স্তরে আমরা দেখেছি, বাম থেকে রামে গিয়েছে লোক। ভোট ট্রান্সফার হয়েছে। যা সত্য, তা সত্য। অতএব সিপিএম দলের বিষয়টি দেখা উচিত।”

এদিকে নন্দকুমারে সমবায় নির্বাচনে জয়ের পর বিজেপি কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। লিখেছেন, “নন্দকুমার ব্লকের চক শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিপুল জয় বিজেপির।”

প্রসঙ্গত, এর আগে বিজেপির নবান্ন অভিযানের সময় বাম সমর্থকদেরও সেই অভিযানে সামিল হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন, রাজ্য সরকারকে উৎখাত করতে চাইলে বিজেপির নবান্ন অভিযানে সামিল হওয়া উচিত। যদিও সেই আমন্ত্রণকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাননি সুজন চক্রবর্তী। তাঁর পাল্টা বক্তব্য ছিল, “আন্দোলন কীভাবে করতে হবে তা কি বিজেপি শিখিয়ে দেবে?”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here