দেশের সময়: এবার আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যাচ্ছে আচার্য শঙ্কর দেবের বায়োপিক। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই ছবির মিউজিক কম্পোজার বনগাঁর গর্ব বিশাখজ্যোতি। শুধু পরিচালক নন, এই ছবির টাইটেল সংও গেয়েছেন বিশাখ। এই ছবিটি গোয়ায় আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জন্য মনোনীত হওয়ায় স্বভাবতই খুশি বিশাখ।
শ্রীমন্ত শঙ্করদেব একাধারে ধর্মপ্রচারক, কবি, নর্তক, সমাজ সংগঠক, সুগায়ক, অভিনেতা ও চিত্রকর ছিলেন। শ্রীমন্ত শঙ্করদেব অসমীয়া জাতি-সাহিত্য ও সংস্কৃতির নির্মাতা। তিনি নববৈষ্ণব ধর্ম বা একশরন ধর্ম প্রচার করে। সমগ্র অসমীয়া জাতিকে একত্রিত ও ঐক্যবদ্ধ করেছেন।
শঙ্করদেব বরগীত এর রচয়িতা এবং একজন ধর্ম গুরু। ছবিটির পরিচালক সুদীপ্ত সেন। ছবিতেও বরগীত ব্যবহার করা হয়েছে।
আড়াই মাসের আমেরিকা সফর সেরে কলকাতায় ফিরে বিশাখ জানালেন, করোনার রক্তচক্ষুকে হারিয়ে দিয়ে দুবছর পর মার্কিন মুলুক ফের উৎসবে মেতেছে। আমেরিকায় থাকা বাঙালিরা এবার দুর্গাপুজো, দীপাবলির পাশাপাশি অনাবাসী ভারতীয়রা নবরাত্রিতে খুব আনন্দ করেছেন। গান শুনেছেন। ফলে এবার কলকাতা ও মুম্বই থেকে অনেক শিল্পী আমেরিকায় গিয়েছিলেন।
আড়াই মাসে বিশাখ ১৬টি একক শোয়ে অংশ নিয়েছেন। যোগ দিয়েছেন একাধিক ফেস্টেও।
কী গান শোনালেন মার্কিন মুলুকে? বিশাখ জানলেন, নিজের গান তো গেয়েইছি। নিজের ভালো লাগার গান গেয়েছি। বাংলার মাটির গান শুনিয়েছি। ফোক গেয়েছি। আবার সত্তর, আশির দশকের গানও শুনিয়েছি।
আমেরিকার মাটিতে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি পালন করেছেন অনাবাসী ভারতীয়রা। সেখানেও গেয়েছেন বিশাখ।
ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান আমেরিকান এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ১০ হাজার দর্শকের সামনে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে গান বিশাখ। সীমান্তের গ্রাম থেকে উঠে আসা বিশাখের দরদি কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত শুনে দেশে থাকতে না পারার আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন হাজার হাজার ভারতীয়। নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকেও পারফর্ম করেছেন বিশাখ। গেয়েছেন আমেরিকায় অনাবাসী ভারতীয় চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় সংগঠনের অনুষ্ঠানেও।
আমেরিকা থেকে ফিরেও বসে নেই বিশাখ। হেমন্তের সন্ধ্যায় নতুন গানের ডালি নিয়ে ১১ নভেম্বর উপস্থিত থাকছেন রাজারহাট নিউটাউনে।