Bikaner Express derail: বাংলায় রেল দুর্ঘটনা সম্পর্কে খবর নিয়েছি, আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, টুইট মোদীর৷ ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনায় চালু হল হেল্পলাইন নম্বর, উদ্বিগ্ন মমতা:

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিকানের এক্সপ্রেস (Bikaner Express Accident) থেকে সব যাত্রীকেই উদ্ধার করা হয়েছে৷ এমনই দাবি করলেন নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক গুনিত কউর৷ যদিও দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগিগুলিতে আরও বেশ কিছু যাত্রী আটকে থাকতে পারেন বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

দুর্ঘটনায় (Train Accident in North Bengal) এখনও পর্যন্ত সাত জন ট্রেন যাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে৷ আহত অবস্থায় ১৬ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে৷ সবমিলিয়ে দুর্ঘটনাস্থল থেকে আড়াইশো জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়৷ দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন রেলমন্ত্রী৷ টইট করেন নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি৷

ময়নাগুড়িতে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, এই দুর্ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। গুরুতর জখমদের দেওয়া হবে এক লক্ষ টাকা এবং যাঁদের সামান্য আঘাত লেগেছে তাঁদের দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনের অন্তত পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। খবর পেয়েই আলিপুরদুয়ার থেকে উদ্ধারকারী দল রওনা দেয় ময়নাগুড়ির উদ্দেশে। উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাও। অন্ধকার নেমে আসায় প্রাথমিক ভাবে উদ্ধারকার্য কিছুটা ধাক্কা খায়। পরে আবার তা শুরু হয়।
এদিন যখন এই রেল দুর্ঘটনার খবর নবান্নে এসে পৌঁছয় তখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠক চলছে। ওই বৈঠকের মাঝেই জলপাইগুড়ির উদ্ধারকাজের ব্যাপারে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

ময়নাগুড়িতে বিকানের এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে তিনি জানান, রেল দুর্ঘটনা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের থেকে সবিস্তারে খোঁজ নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘কথা বলেছি রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনার নিয়ে খোঁজ নিয়েছি। শোকাহত পরিবারদের পাশে রয়েছি। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এই কামনা করি।’

আবার মুখ্যমন্ত্রীর থেকে প্রাথমিক খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্ধে পর্যন্ত খবর, তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অনেক। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফালাকাটা ও বারিপাড়া থেকে অনেকগুলি অ্যাম্বুলেন্স রওনা দিয়েছে ময়নাগুড়ির দিকে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন ময়নাগুড়িতে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস উল্টে যাওয়ার ঘটনায় আমি খুবই উদ্বিগ্ন। রাজ্য সরকারের সিনিয়র অফিসার এবং উত্তরবঙ্গের জেলাশাসক, এসপিরা বিষয়টি দেখছেন। উদ্ধারকার্য চলছে। যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্টেট হেড কোয়ার্টাস থেকে গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনায় একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। সেটি হল ৮১৩৪০৫৪৯৯৯। একের পর এক টুইট করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো।

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1481623836210593794?t=4HohRtdbBUdq7AHnujKQew&s=19 বহু যাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যা নেমে আসায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে ড্র্যাগন লাইট।
রেল আধিকারিকের এক সূত্র জানান, দ্রুত পদক্ষেপ করেই উদ্ধারকার্যে নামা হয়েছে। কিন্তু অন্ধকার নেমে আসায় উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে ভীষণ অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। এর পরেই কোচবিহার পুলিশের তরফে উদ্ধারকাজ চালাতে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে দড়ি আর ড্র্যাগন লাইট।

বহু যাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যা নেমে আসায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে ড্র্যাগন লাইট।

রেল আধিকারিকের এক সূত্র জানান, দ্রুত পদক্ষেপ করেই উদ্ধারকার্যে নামা হয়েছে। কিন্তু অন্ধকার নেমে আসায় উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে ভীষণ অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। এর পরেই কোচবিহার পুলিশের তরফে উদ্ধারকাজ চালাতে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে দড়ি আর ড্র্যাগন লাইট।

উদ্ধারকার্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ২০ জন পুলিশকর্মীর একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন মাথাভাঙার অতিরিক্ত এসপি। ৫০০ ফুড-প্যাকেট আর জলের বোতল নিয়ে যাচ্ছেন মেখলিগঞ্জের ওসি-ও।
ইতিমধ্যেই প্রায় ৫১টি অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল থেকেই ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক নার্সদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রস্তুতির।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here