সোমবার সকাল থেকে একের পর এক পট পরিবর্তন হয়ে চলেছে বাংলাদেশে। এদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা । বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তির নির্দেশ দিলেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ শাহাবুদ্দিন। পাশাপাশি সমস্ত বন্দি আন্দোলনকারীদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
খালেদা জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রধান এবং শেখ হাসিনার কট্টর প্রতিপক্ষ। তিনি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও। দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এদিন বাংলাদেশের এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বঙ্গভবনে এদিন তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহবুদ্দিন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় সংসদ ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে পদক্ষেপ করবে সেনা। এরপর সন্ধে নাগাদ খালেদা জিয়াকে মুক্তির নির্দেশেও বিষয়েও জানানো হয়।
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরেই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ চালানো হবে। সরকার গঠনের জন্য আওয়ামি লিগকে আলোচনায় ডাকা হবে না। আলোচনায় যুক্ত থাকবে বিএনপি, জামাত শিবির। সেক্ষেত্রে জেল থেকে মুক্তির পর সরকার গঠনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কী ভূমিকা থাকে, আপাতত সেদিকেই নজর বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের।
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশে সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। সেনার নির্দেশে মঙ্গলবার কারফিউ উঠে যাওয়ার পর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা খোলা থাকবে।