দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাবার দীর্ঘদিনের বন্ধু আর সেই সূত্রে বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিলই। বাবার সেই বন্ধুকে কাকুর মতো করে বিশ্বাস করে কাল হল দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত ডিপিএল টাউনশিপের এক নাবালিকার। সপ্তম শ্রেণীর ঐ ছাত্রী ‘কাকুর’ মানসিক নির্যাতনে আতঙ্কিত।

এমনকী মানসিক যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে সে একবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিল বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত মানস পাল (৫৫) দুর্গাপুরের নডিহার শ্মশান কালী মন্দির সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা বলে খবর। নাবালিকার বাবার বন্ধুত্বের সূত্রে ডিপিএল টাউনশিপের ই.এন টাইপ আবাসনে নাবালিকার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই যাতায়াত ছিল তার।

একপ্রকার পারিবারিক সম্পর্কও ছিল দুই পরিবারের মধ্যে। মাঝে কিছুদিন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু মাস ছয়েক হল ফের ঐ নাবালিকার বাড়িতে আসতে শুরু করে মানস পাল। অভিযোগ এরপর থেকেই ফোনে নানাভাবে অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকে নাবালিকাকে।

সূত্রের খবর, অনলাইন ক্লাসের জন্য নাবালিকা তার মায়ের স্মার্ট ফোনটি ব্যবহার করতো। সেই সুযোগে হোয়াটসঅ্যাপে তাকে কুরুচিকর কথা লিখে পাঠাত মূল অভিযুক্ত। এমনকি অনেক কুপ্রস্তাবও দিত বলে অভিযোগ। নাবালিকাকে বিয়েও করতে চেয়েও মেসেজ পাঠিয়েছিল বছর পঞ্চান্নর মানস পাল।

যদিও তাঁর নিজের একটি সংসার রয়েছে। এমনটাই অভিযোগ ওই নাবালিকা ও তার পরিবারের। হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন কাউকে দেখালে বা পুলিশে অভিযোগ জানালে নাবালিকাকে অপহরণ করে নেওয়ার পাশাপাশি গোটা পরিবারকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেয় মানস পাল। এমনকি সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সবকিছু ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলেও শাসানো হয়।

ইতিমধ্যেই মানসের বিরুদ্ধে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই নাবালিকার পরিবার। তাপরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

স্থানীয় ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার শশাঙ্ক শেখর মন্ডল ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। কোনোভাবেই যাতে অভিযুক্ত মানস পাল ছাড়া না পায় তার জন্য পুলিশের কাছে আর্জিও জানান স্থানীয় কাউন্সিলার।

শুক্রবার কোকওভেন থানার পুলিশ অভিযুক্ত মানস পালকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পাঠায়। এদিকে ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মানস পালের মা মঞ্জুরানী পাল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here