মোহিনী বিশ্বাসের মাটির পাত্রে রচিত এই দেবী কালীর চিত্রে একটি অদ্ভুত দৃষ্টিকোণে ভাষা বলে। প্রতিটি রেখা, প্রতিটি রং, এবং প্রতিটি অংশ মোহিনীর আদর্শ কারুকলা এবং কৌশলের মধ্যে একটি ভাষা গড়ে তুলেছে, যা এই সকলে মিলে এই চিত্রটিকে একটি অদ্ভুত আর্ট পিসে পরিণত করেছে।
এই চিত্রে দেখা যাচ্ছে মোহিনীর উজ্জ্বল আদর এবং প্রতিষ্ঠা দেবী কালীকে। মোহিনীর পটচিত্রে দেবীর চেহারা হৃদয়মুকুল করে এবং সে একটি বিশেষ অস্ত্র দিয়ে রহিত, শান্ত, এবং সশক্ত ভাবে দেখা যাচ্ছে। দেবীর কালীর চোখে অবাক করা মহাকাল দেখা যাচ্ছে যা এই চিত্রকলা একটি আধুনিক ও ধার্মিক উদ্দীপন দেয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেছে। দেখুন ভিডিও
ছোট থেকেই মোহিনী দেবী আঁকতে ভালোবাসেন। তার রংতুলির প্রতি টান বহু কাল থেকেই। তার ছেলেবেলায় তিনি বিভিন্ন পাতা ফলের বীজ থেকে রং করতেন, এবং নানা রকমের মূর্তি তৈরি করতেন।
মোহিনী বিশ্বাস বিভিন্ন পৌরাণিক ছবি, প্রকৃতি কেন্দ্রিক ছবি আঁকতে পছন্দ করেন । তার সৃষ্টি করা অন্যতম সেরা সিরিজ হল দুর্গা সিরিজ, অরণ্যনন্দিনী সিরিজ।
তিনি মনে করেন যে বর্তমান প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে প্রকৃত শিল্পীদের কোনো রকম কুপ্রভাব ফেলেনি বরং একটা সুন্দর মেলবন্ধন ঘটিয়েছে ।
তবে ঠিক যেমন কথায় আছে জুহুরীর চোখ জোহর চেনে, ঠিক তেমনি যারা প্রকৃত শিল্প কলা চেনে তারা সেই সকলেই আসল জিনিসের কদর দিয়ে থাকেন।
তিনি সংশোধনাগারের বন্দীদের নিয়ে কাজ করেছিলেন। সেখানে এক অভুতপূর্ব অভিজ্ঞতার সাক্ষী ছিলেন তিনি, এক ছোট শিশু একটা অর্ধেক আকাশ এঁকেছিল, তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে যে সে কখনোই সংশোধনাগারের বাইরে খোলা আকাশ দেখার সুযোগ হয়নি তাই সে জানে না যে কিকরম এই আকাশ ।
তিনি দেখেছিলেন এই সংশোধনাগারে সকলেই প্রশান্তি অনুভব করেছিলেন ছবি এঁকে। বাংলার এই দক্ষ কারিগর মোহিনী বিশ্বাসের তুলির ছোঁয়া মন কেড়েছে সকলের ।