শুক্রবারই রাজ্যে এসে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ নবান্ন সভাঘরে সকাল ১১টা থেকে ইস্টার্ন সিকিউরিটি জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক হবে।
দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নবান্ন সভাঘরে একই মঞ্চে মুখোমুখি শাহ-মমতা। একান্ত সাক্ষাত্ নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। গতরাতে শহরে এসেই বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে শাহি বৈঠক। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করে একযোগে কাজ করার বার্তা মোদীর সেকেন্ড ইন কমান্ডের।
সূত্রের খবর, সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নবান্ন সভাঘরে বৈঠক হবে। বৈঠকে অমিত শাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও থাকবেন নবীন পট্টনায়েক, হেমন্ত সোরেন ও তেজস্বী যাদব। কথা হবে ৪ রাজ্যের নিরাপত্তা বিষয়ক পারস্পরিক সম্পর্ক ও সমস্যা নিয়ে।
এর আগে বিভিন্ন সময় কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে যাননি মমতা। কখনও ব্যস্ততার কারণে, কখনও ক্ষোভ দেখিয়ে। কিন্তু এবার তা হয়নি। নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা মেনেই নবান্ন সভাঘরে এক মঞ্চে থাকছেন অমিত শাহ-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একান্ত বৈঠকের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল। আর সেই সম্ভাবনাকে কেন্দ্রে করেই যাবতীয় জল্পনা। কারণ রাজনীতির মাঠে দুই নেতার দেখা হলে রাজনীতির কথা হবে সেটাই স্বাভাবিক।
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাজ্য এসেই বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অমিত শাহ। বিজেপির রাজ্য দফতরে আধঘণ্টারও বেশি সময় আলোচনায় যোগ দেন তিনি। সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপ সহ রাজ্যের শীর্ষ নেতারা ছিলেন বৈঠকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করে একযোগে কাজ করার বার্তা দেন মোদীর সেকেন্ড ইন কমান্ড।
অন্যদিকে আর্ন্তজাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে জমি অধিগ্রহণের কাজ মার্চের মধ্যেই শেষ করতে রাজ্যকে ইতিমধ্যে বলেছে কেন্দ্র। গত সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা ভার্চুয়াল বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদিকে এই আর্জি জানান। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়েই এই কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ার কাজ হচ্ছে। ২৫৭ কিলোমিটার জুড়ে আর্ন্তজাতিক সীমান্তে ১৮৬ কিলোমিটার কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ার জমি মিললেও ৭০ কিলোমিটারের কাজ এগোচ্ছে না জমি না পাওয়ায়। রাজ্যকে এই জমি অধিগ্রহণ করে দিতে হবে। নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়েই এই বৈঠক।
ভারত – বাংলাদেশ সীমানা বরাবর কাটা তারের বেড়া দেওয়ার কাজটি দ্রুত সম্পন্ন হোক, তার উপরও কেন্দ্রের তরফে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে আগামী মার্চের মধ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজটি শেষ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তে চোরা চালান, অনুপ্রবেশ ইত্যাদি রুখতে বিএসএফের ভূমিকা ও দায় দ্বায়িত্বের বিষয়েও মত বিনিময় হয় ৷