দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ একুশের ভোটে বনগাঁ দক্ষিণে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন আলোরানি সরকার। কিন্তু তিনি নাকি ভারতের নাগরিকই নন । তাঁরই দায়ের করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা করেছে।

পাশাপাশি হাইকোর্ট সূত্রের খবর, আলোরানিকে ভারত থেকে বিতাড়িত করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।

বনগাঁ দক্ষিণের ফল নিয়ে আলোরানি মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে। সেই মামলা মূলত ছিল বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে। আলোরানির দায়ের করা সেই পিটিশন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী ৷

বিজেপির স্বপন মজুমদারের হয়ে মামলা লড়েছিলেন জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের আইনজীবী জাগৃতি মিশ্র। তিনিই আদালতকে তথ্য দিয়ে জানান, আলোরানি বাংলাদেশের নাগরিক। আদালত কড়া ভাষায় তৃণমূলের সমালোচনা করে বলেছে, দায়িত্বশীল দল হিসেবে কখনওই একজন বাংলাদেশিকে ভারতের রাজনৈতিক দল প্রার্থী করা যায় না। জানা যাচ্ছে, আলোরানির নাকি বিয়েও হয়েছে বাংলাদেশে। তাঁর স্বামীও সেই দেশেই থাকেন।

এমনিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কয়েকদিন আগেও তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। এবার অভিযোগ উঠল, বাংলাদেশিকে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করেছিল শাসকদল।

২০১৯-এর নির্বাচনে বাংলাদেশের দুই অভিনেতাকে প্রচারে নামিয়ে বিপাকে পড়েছিল তৃণমূল। রানি রাসমণি ধারাবাহিকের নূর আবদুন গাজি এবং অভিনেতা ফিরদৌস তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন। নূরকে তারপর কলকাতা ছাড়তে হয়েছিল। ফিরদৌসের পাসপোর্ট কালো তালিকাভুক্ত করেছিল কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক।

আবার ওই বছর বাংলাদেশি অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে বিপাকে পড়েছিল বিজেপিও। বেদের মেয়ে জোৎস্না খ্যাত ওই অভিনেত্রীর হাতে বিজেপি পার্টি অফিসে পদ্ম পতাকা ধরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। জ্যোৎস্না কাণ্ড আলোরানির থেকে কম ছিল না।

তবে আলোরানির ক্ষেত্রে কড়া কথা শুনিয়েছে হাইকোর্ট। এখন দেখার এই ক্ষেত্রে জল কোন দিকে গড়ায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here