দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বহরমপুরকে বলা হয় অধীর চৌধুরীর গড়। সেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বছরের শেষ দিনে পদযাত্রা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে । এদিন তীব্র আক্রমণ শানিয়ে অধীর বলেন, ‘চুরির টাকা জলের মতো খরচা করে ডায়মন্ড হারবারকে সন্ত্রাসের গড় বানিয়ে রাখা হয়েছে। মানুষের সমর্থন কারও পেটেন্ট নেওয়া নেই। আজ যা আছে, কাল তা বদলে যাবে।’
রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাকে সংহতি জানিয়ে সাগর থেকে পাহাড় পদযাত্রা শুরু করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে গত ২৮ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগর থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল। শনিবার ডায়মন্ড হারবার থেকে আমতলা পর্যন্ত পদযাত্রায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধীর।
এদিন লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘এখানে হাঁটতে হাঁটতে হোর্ডিং দেখলাম—বাংলার যুবরাজ। আমি তৃণমূলকে প্রশ্ন করতে চাই, বাংলায় কি রাজতন্ত্র চলছে নাকি?’
বহরমপুরেরে সাংসদ আরও বলেন, ‘আজ থেকে ১০ বছর আগে কেউ বলত না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোরেদের মদত দেন। কিন্তু আজ বলছে। পরিবারের মধ্যেই দুর্নীতিগ্রস্থরা রয়েছে।’
সন্দেহ নেই অনেকদিন পর প্রদেশ কংগ্রেস এককভাবে এত বড় সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়েছে। বিধান ভবনের লক্ষ্য, এই যাত্রার মধ্যে দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলা সংগঠনে ঝাঁকুনি দেওয়া।
অধীরের দাবি, ‘যাত্রা যত এগোচ্ছে মিছিলে লোকের সংখ্যা তত বাড়ছে। যে মানুষ ভয়ে মিছিলে পা মেলাতে পারছেন না, তাঁরা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে হাত নাড়ছেন। সবাই এই দমবন্ধ পরিবেশ থেকে মুক্তি চান। তৃণমূলও জানে পুলিশ ছাড়া একটা দিনও তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’
পাল্টা তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, ‘কংগ্রেস দলটার বাংলায় কোনও অস্তিত্ব নেই। অধীরবাবু মিডিয়ায় গরম গরম কথা বললেও বাস্তব হচ্ছে বুথে ওদের ঝান্ডা ধরার কেউ নেই। তাই হতাশা থেকে এসব বলছেন।’