দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জ্বালানি সঙ্কটে জর্জরিত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ালেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চললে চলতি বছরের শেষেই ঝাড়খণ্ডের একটি কয়লাচালিত পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করবে আদানি গোষ্ঠী। সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন গৌতম আদানি। তারপরই টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডের ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গোড্ডা পাওয়ার প্রকল্প থেকে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানির জন্য একটি ট্রান্সমিশন লাইন তৈরি করা হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ৯৭ শতাংশ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। অর্থাৎ, মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯৭ শতাংশের কাছে বিদ্যুতের সুবিধা রয়েছে। এই নিয়ে সেই দেশের সরকারের গর্বের শেষ নেই। বাংলাদেশের মোট বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১৫,০০০ মেগাওয়াট। আর তাদের মোট বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা ২৫,৭০০ মেগাওয়াট। কিন্তু, বিদ্যুতায়নের এই সাফল্যই বর্তমানে তাদের সমস্যায় ফেলেছে। চলতি বছরের জুন মাস থেকে সেই দেশে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি।

আসলে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অত্যধিক মাত্রায় জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানির উপর নির্ভর করে। সেই দেশের ৬০ শতাংশ বিদ্যুত উৎপাদন হয় শুধুমাত্র তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। ২০১৬ সালে, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের এই আমদানী নির্ভরতা কমানোর জন্য ‘মহাপরিকল্পনা’ করেছিল বাংলাদেশ সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে তারা দেশের মোট বিদ্যুত উৎপাদনের ৩৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দেশিয় কয়লা ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু তহবিলের অভাব এবং পরিবেশগত উদ্বেগের কারণে তারা ১০টি কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য করেছে।

অন্যদিকে, সেই দেশের পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ক্ষমতা ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য অপর্যাপ্ত। ফলে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে বাইরে থেকে জ্বালানি আমদানি করা ছাড়া গতি নেই। কিন্তু, বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার ক্রমবর্ধমান জ্বালানি আমদানির খরচ কমাতে চাইছে। তাই বর্তমানে এত ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হচ্ছেন বাংলাদেশি নাগরিকরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here