দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রায় সাড়ে ৮টা ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর দিল্লির ইডি দফতর থেকে বেরোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘আমাকে দ্বিতীয় বার ডেকে পাঠানো হয়েছিল। দেড় বছর আগে যা বলেছিলাম, এখনও ওই অবস্থানেই অনড় আমি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব।’’ ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ স্পষ্ট জানালেন, ‘‘ইডি, সিবিআই-এর কাছে আমি মাথা নত করব না।’’

সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ নয়াদিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) অফিসে ঢুকেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখান থেকে যখন বেরোলেন, তখন সন্ধে ৭ টা বেজে গিয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “আমাকে ৯ ঘণ্টা ধরে প্রশ্ন করেছে। আমি সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যা তথ্য জানতে চেয়েছিল জানিয়েছি। যা ডকুমেন্ট চেয়েছিল দিয়েছি। যা পরিসংখ্যান চেয়েছিল, তাও দিয়েছি”। তবে ঠিক কী ধরনের প্রশ্ন তাঁকে করা হয়েছিল, তা জানাতে চাননি অভিষেক। এ ব্যাপারে প্রশ্নের করা হলে তিনি বলেন, এ নিয়ে বাইরে কিছু বলা ঠিক হবে না। এ ব্যাপারে আমি গোপনীয়তা রাখতে চাইব।

অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জেরার জন্য তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু অভিষেক এদিন ইডি কর্তাদের জানিয়েছেন, তাঁর পুত্র সন্তানের বয়স মাত্র ২ বছর। স্ত্রী তাঁকে নিয়ে ও পারিবারিক দায়বদ্ধতার কারণে ব্যস্ত। তাই এদিন আসতে পারেননি। অভিষেক জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী ইডিকে জানিয়েছেন সন্তান নিয়ে দিল্লিতে আসা সম্ভব নয়। যদি কেন্দ্রীয় এজেন্সির কর্তারা চান তাহলে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারেন। প্রসঙ্গত, এদিনই ইডির নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে রুজিরা।

বেআইনি কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডের সূত্র ধরে এদিন অভিষেককে ম্যারাথন জেরা করেছে ইডি। একদা অভিষেক ঘনিষ্ঠ নেতা বিনয় মিশ্র সম্পর্কেও তাঁকে জেরা করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
কিন্তু অভিষেক এদিন পাল্টা বলেন, একে গরু পাচার কেলেঙ্কারি বা কয়লা কেলেঙ্কারি বলা ঠিক হবে না। গরু কোনও পোকামাকড় নয়। সেই গরু পাচার হয়ে গেছে বিএসএফ জানত না? বিএসএফের মন্ত্রী কে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। কয়লা খনি এলাকায় পাহাড়ার দায়িত্ব সিআইএসএফের। তাদের মন্ত্রী কে? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। সুতরাং একে হোম মিনিস্টার স্ক্যাম বলা উচিত।

বিজেপি-কে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘‘গণতান্ত্রিক ভাবে এরা ভোটে লড়তে পারে না। তাই আপনারা দেখবেন, নির্বাচন-উপনির্বাচন এলেই এরা হেনস্থা করতে চায়। এখন আসানসোল আর বালিগঞ্জে উপনির্বাচন রয়েছে। বাংলায় হেরেছে বলে ইডি, সিবিআই দিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে।’’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here