নিজস্ব প্রতিনিধি – তিন দিনের কলকাতা সফর শেষ করে শহর ছাড়লেন ’আশির বাদশা ’মজিদ বাসকর। জানা গিয়েছে গোয়া
গিয়েছেন তিনি। সেখানে দু’দিন কাটানোর পরে ইরানের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মজিদ।
ইস্টবেঙ্গলের ক্রীড়াদিবসে জমকালো সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন জীবিত অধিনায়কদের। যা এখনও পর্যন্ত কোনও ক্লাব এমন
কীর্তি দেখাতে পারেনি।
বলাই বাহল্য, জীবিত অধিনায়কদের সংবর্ধনা দেওয়ার অনুষ্ঠানে মজিদ ছিলেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে।
মজিদ ছাড়া সুলে মুসাকে নিয়েও আবেগে ভাসেন লাল-হলুদ সমর্থকরা।
সেই ১২ নম্বর জার্সি পড়ে ইস্টবেঙ্গল মাঠে নেমেছিলেন মজিদ। লাল-হলুদ মাঠে এসে আবেগমোথিত হয়ে পড়েন। অতীত দিনের
স্মৃতি রোমন্থন করেন। এখনও মনে রেখেছেন মনোরঞ্জন, হাবিব, সুধীর কর্মকারদের। সুব্রত ভট্টাচার্য যে তাঁকে সব থেকে বেগ
দিতেন তা জানালে ভোলেননি।
মজিদের মতো ময়দানের সেরা বিদেশি ফুটবলারকে চোখে দেখে দিলখুশ লাল-হলুদ জনতার।
তবে এক সময় ভারতে আসার ব্যাপারে দ্বিধায় ছিলেন মজিদ। সে কথা তিনি বলে গিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ’ভারতে আসার
ব্যাপারে এক সময় দ্বিধায় ছিলাম। আসব কী আসব না তা বুঝতে পারছিলাম না। জামশেদ নাসিরি ও মনোরঞ্জনের ফোন পাওয়ার
পরে ঠিক করি ভারতে আসব।’
কলকাতার ফুটবল প্রেমীর অধিকাংশ মজিদের খেলা দেখেনি। তাই আশির বাদশা মজিদকে দেখার বড় সাধ ছিল সকলের।
মজিদকে দেখার পরে উচ্ছ্বসিত লাল-হলুদ জনতা। ফের মজিদ কলকাতায় আসবেন কিনা সে ব্যাপারে তিনি স্পষ্ট বলেননি। তবে
কলকাতা কোনওদিন মজিদকে ভুলবে না।