RG kar case Verdictআরজি কর-কাণ্ডে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ, রায় ঘোষণা কবে? জানিয়ে দিল শিয়ালদহ আদালত , রাজপথে চিকিৎসকরা

0
12

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের বিচারপর্ব শেষ হয়েছিল আগেই। এবার চূড়ান্ত রায়দানের দিনও জানিয়ে দিল আদালত।
শিয়ালদহ আদালতে চলছে আরজি কর মামলার শুনানি। আদালত সূত্রের খবর, আগামী ১৮ জানুয়ারি দুপুর ২টোয় এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবেন বিচারক। 

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচারপ্রক্রিয়া শেষ। আগামী ১৮ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত। ওই দিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ সাজা ঘোষণা করা হবে।

গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাঁকে। এরপর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। 

গত ৭ অক্টোবর আরজি কর-কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। সেখানে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকেই মূল অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়।  সিবিআইয়ের দাবির বিরোধিতা করে আদালতে ধৃতের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেল এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তই নন। গোটা ঘটনাটি সাজানো। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে অভিযুক্তকে।

সিবিআই জানিয়েছিল, এই ঘটনার তদন্তে যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, তাতে এক জনই অভিযুক্ত। এক জনের পক্ষেও যে ওই ঘটনা সম্ভব, তা বলা হয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রিপোর্টেও।  কয়েকদিন আগেই নতুন করে তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা।  তাঁদের অভিযোগ ছিল, সিবিআই প্রমাণ লোপাট করছেন।

১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয় আরজি করের ঘটনার বিচারপ্রক্রিয়া। টানা ৬০ দিন চলল শুনানি।  আদালতে ধৃতের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছে সিবিআই। অবশেষে আরজি করের সেই ন্যক্কারজনক ঘটনার পাঁচ মাস পর সাজা ঘোষণা করতে চলেছে আদালত। 

গত বছরের ৮ অগস্ট আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকেৈ ধর্ষণ ও খুন করা হয়। তদন্তে নেমে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে তদন্তভার হাতে নিয়ে আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারকেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই-ও। যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে তা যে একজনের পক্ষে করা সম্ভব যে দাবি ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

এদিকে প্রাথমিক তদন্তে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে সঞ্জয় রায়কে সেমিনার হলের বাইরে দেখা গেছিল। তার হেডফোনও পাওয়া গিয়েছিল ঘটনাস্থল থেকে। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করতে উদ্যত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অন্যদিকে অভিযুক্তর আইনজীবীর দাবি, ‘সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। সে ষড়যন্ত্রের শিকার।’

এর আগে সঞ্জয়ও সংবাদমাধ্যমের সামনেও মুখ খুলে প্রায় একই দাবি করেছিল। সরাসরি নিশানা করেছিল পুলিশকেও। তারপর আদালতে আনার সময়ে তার পুলিশি নিরাপত্তাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

সিবিআই তদন্ত অবশ্য একেবারেই খুশি নন নির্যাতিতার পরিবার। তাঁদের দাবি, ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে, তবে তাদের আড়াল করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সিবিআই সময়ে চার্জশিট দাখিল না করতে পারায় ইতিমধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আরজি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এরপরই পুনরায় মেয়ের খুনের বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার মা-বাবা। আদালত পুনরায় মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছে।

আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণকাণ্ডের পাঁচমাস পার। গত বছর ৯ অগস্টের নারকীয় ঘটনার বিচার এখনও আসেনি। আর কবে? সেই প্রশ্ন রেখেই বৃহস্পতিবার বিকেলে কলেজ স্কোয়ার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করলেন চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, পরিকল্পনা রয়েছে একদিনের জন্য রাতভর অবস্থান করবেন তাঁরা। এই অভিযানে জুনিয়র চিকিৎসকদের স্লোগান, ‘নতুন বছর দিচ্ছে ডাক, অভয়া বিচার পাক’।

Previous articleBSF-BGB বাংলাদেশি কমান্ডারের সঙ্গে বৈঠকে বিএসএফ-এর আইজি ,পেট্রাপোল সীমান্তে হঠাৎ কী এমন হল? দেখুন ভিডিও
Next articleWeather Update শীতের আমেজ আর কত দিন? কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here