দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে, তা নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
বুধবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিল, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে যে সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তার থেকে কম কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা চলবে না। শুধু তা-ই নয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই বাহিনীর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করতে হবে বলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
কীভাবে এই সংখ্যা পৌঁছল কলকাতা হাইকোর্ট ?
কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশন যথাযথ ভাবে পালন করেনি বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ ব্যাপারে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন তিনি। এদিন সেই মামলার শুনানির সময়ে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, প্রতি জেলায় মাত্র ১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করার কথা বলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এক কোম্পানি মানে কার্যত ৮০ জন অ্যাক্টিভ পার্সোনেল। বাকিরা ড্রাইভার, রাধুনি ইত্যাদি।
এর পরই রায় ঘোষণা করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ২২ জেলার জন্য মাত্র ১৭০০ বাহিনী তথা জওয়ান, মোটেই পর্যাপ্ত নয়। মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন এমন ভাবে কোর্টের নির্দেশ বলবৎ করছে যাতে কাজের কাজ কিছু না হয়। কেন এরকম করছে বুঝতে পারছি না। কমিশন কি নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে পারছে না?
প্রধান বিচারপতি বলেন, ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল ৫ দফায়। তখন মোট ১ লক্ষ ৫ হাজার রাজ্য পুলিশ ও ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। তখন পশ্চিমবঙ্গের জেলা ছিল ১৭টি। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২২ টি। সুতরাং সেই হিসাবে এবার পঞ্চায়েত ভোটে ৮২ হাজারের বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
সাধারণ হিসাবে ৮২ হাজার বাহিনী মানে প্রায় ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু এদিন বিচারপতি তাঁর রায় ঘোষণার সময়ে বলেছেন, প্রতি কোম্পানিতে ৮০ জন অ্যাক্টিভ পার্সোনেল থাকে। সেটা মাথায় রাখতে হবে।
অর্থাৎ এবার পঞ্চায়েত ভোটে প্রায় ১ হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশ। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাইকোর্টের রায় বলবৎ করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।