রিয়া দাস , বনগাঁ : এবার ইসরো থেকে ডাক পেলেন বনগাঁর যুবক বিশ্বনাথ দাস ৷ কোনওরকম কোচিং ছাড়াই ইসরোর প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেছেন তিনি। তাঁকে নিয়ে গর্বিত বনগাঁর দীনবন্ধু নগরের বাসিন্দারা। কয়েকদিন পরেই ইসরো বেঙ্গালুরুর ইউআররাও স্যাটেলাইট সেন্টারে কাজে যোগ দিতে চলেছেন বিশ্বনাথ।
বলাই বাহুল্য, বিশ্বনাথের এই সাফল্যের পথ খুব মসৃণ ছিল না। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে বিশ্বনাথের বাবা বিবেক দাসের সীমিত উপার্জনে তাঁদের সংসার চলে। কষ্ট করেই তিনি ছেলেকে বি-টেক পড়ানোর খরচ জুগিয়ে গিয়েছেন।
বি টেক পাশ করার পরে ২০১৪ সাল থেকেই সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেছিলেন বিশ্বনাথ। সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছেও ছিল। কিন্তু সে আশা পূর্ণ হয়নি। দেখুনভিডিও :
পরে তিনি সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে দিতেই ইসরো প্রবেশিকা পরীক্ষার কথা শোনেন। সেই থেকে টানা দু’বছর ধরে এই পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করে গেছেন। কোনও কোচিং ছাড়াই নিজে নিজেই প্রস্তুতি নিয়েছেন। কোনও বাধা এলে পাশে পেয়েছেন পরিবার ও বন্ধু বান্ধবদের। এর মধ্যেই করোনা এসেছে, পরিবারের চাপে অন্য চাকরি করতেও বাধ্য হন তিনি, তার ফাঁকে ফাঁকেই চলতে থাকে ইসরো-র পরীক্ষার প্রস্তুতি।
বিশ্বনাথ জানালেন, টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। ইচ্ছে, জেদ এবং পরিশ্রম ছিল ঠিকই, কিন্তু এই কাজের সুযোগ যে পাবেন, তা ভাবতেও পারেননি তিনি। মোবাইলের পিছনে সময় অপচয় না করে বই পড়ায় মনোনিবেশ করলেই যে কেউ এই সাফল্য পেতে পারে।