২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন অর্জুন সিংহ। তিন বছর বাদে আবার ঘর বদলে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা বারাকপুরের বিজেপি সাংসদের।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে পৌঁছলেন অর্জুন সিংহ। ঘাসফুলে যোগদান পর্ব হতে পারে আজই।
দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মনে পড়ে গত ছাব্বিশে জানুয়ারির কথা?
ব্যারাকপুর গান্ধী ঘাটে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানে জ্যোতিপ্রিয় ছিলেন বটে। তবে রাজ্যপালের মঞ্চ বয়কট করে নীচে বসেছিলেন।
সেদিন বালু মল্লিক বলেছিলেন, “আমি রাজ্যপালকে বলেছি, প্রোটোকল মিনিস্টার হিসেবে আমি এসেছি। কিন্তু মঞ্চে উঠব না। কারণ আপনার পাশে একটা দাগি ক্রিমিনাল বসে আছে। তার নাম অর্জুন সিং৷
” আজ রবিবার বিজেপি সাংসদ অর্জুন যখন তৃণমূলে ফিরছেন তখন সেই তিনি রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা উত্তর চব্বিশ পরগনা তৃণমূলের অবিসংবাদী নেতা জ্যোতিপ্রিয় বললেন, “আমাদের নৈতিক জয়।”
এদিন অবশ্য সেসব কথা মনে করতে চাননি জ্যোতিপ্রিয়। অর্জুন ক্যামাকস্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে যাওয়ার আগে জ্যোতিপ্রিয় সেখানে পৌঁছন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এটা আমাদের নৈতিক জয়। প্রমাণ হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রচ্ছায়ায় থাকতে হবে। তার মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশনেত্রী।”
তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। দলের নেতৃত্ব যখন কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন সেখানে অন্য মত আমাদের নেই।” অর্জুন যে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্কেত নিয়ে তৃণমূলে ফিরছেন এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই।
কারণ অর্জুন যেভাবে তৃণমূল ছেড়েছিলেন, বিজেপিতে গিয়েছিলেন এবং গত তিন বছর কালীঘাট তথা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের বিরুদ্ধে যতটা আগ্রাসী ছিলেন তাতে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের সঙ্কেত না থাকলে তাঁর তৃণমূলে ফেরা সম্ভব ছিল না।