দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি।
বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত গভীর নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, রবিবারেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপর দিয়ে নিম্নচাপ হিসেবে যাবে। সোমবার তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। যে কারণে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় সমুদ্র তীরবর্তী পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। শনিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই যাঁরা সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে।
শনিবার রাত থেকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে হালকা বৃষ্টি শুরু হবে। রবিবার দমকা হাওয়ার পাশাপাশি বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। সোমবার ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার হতে পারে ‘অশনি’র গতিবেগ।
ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ৮০ কিলোমিটার। মঙ্গলবারের মধ্যে উত্তর মায়ানমার ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ উপকূলে পৌঁছবে এই ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়বে না। বরং সোমবার থেকে বাংলায় আরও বাড়বে গরমের দাপট। বাড়বে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও। আগামী চারদিনের মধ্যে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।
হাওয়া অফিস থেকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বসবাসকারী সাধারণ মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। কাঁচাবাড়িতে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সরকারের তরফ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের জেরে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।