দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ দেশের করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ার যেন কোনও লক্ষণই নেই।
গত ২৪ ঘণ্টায় ফের বাড়ল সংক্রমণ। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন। এদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও। দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ১৪ লক্ষ ১৭ হাজার ৮২০।
বাড়ল সংক্রমণের হারও। পজিটিভিটি রেট বেড়ে হল ১৬.৬৬ শতাংশ। উল্লেখ্য, প্রতিদিনই সংক্রমণের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। যা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। সুস্থতার হার কমে ৯৪.৮৩ শতাংশ। এদিকে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৬ হাজার ৪১।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, দিল্লিতে। অ্যাক্টিভ কেসের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। নতুন করে এরাজ্যে ২৩ হাজার ৬৪৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত ৪৩ হাজার ১১১ জন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে বেড়েছে করোনায় মৃতের সংখ্যাও। মৃত্যু হয়েছে ৪০২ জনের। অন্যদিকে, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ২২ হাজার ৬৮৪ জন। তবে যে হারে সংক্রমণের হার দ্রুত গতিতে বাড়ছে তা নিয়ে আশঙ্কা আরও বাড়ছে।
সারা দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে এপর্যন্ত কোভিড ভ্যাকসিনেশন ১৫৬.০২ কোটি ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
শুক্রবার মুম্বইয়ে ১১৩১৭টি করোনা সংক্রমণ নথিভুক্ত হয়েছে। পজিটিভিটি হার কমে আগেরদিনের ২১.৭৩ থেকে হয়েছে ২০ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে অবশ্য গতকাল সংক্রমণ নথিভুক্ত হয়েছে ৪৩২১১টি। ১৯ জন মারা গিয়েছেন। দিল্লিতে গতকাল নতুন কোভিড ১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২৪৩৮৩টি। তার আগের দিন ছিল ২৮৯ হাজার কেস। ফলে দিল্লিতে কি সংক্রমণের দাপট কমতে শুরু করেছে, এই প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মত, টেস্টিং কমার প্রতিফলন এটা।
তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই চলতি মাসের শেষে বসছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। সরকারের ভাবনা, কঠোর কোভিড প্রটোকল মেনে বাজেট অধিবেশন বসবে। আবার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সূত্র জানাচ্ছে,. ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রায় ২৪ হাজার লোক সামিল হবেন কোভিড বিধি মেনেই।
এর মধ্যেই একটি নামী বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নালে বেরনো নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, স্বাস্থ্যবান মানব কোষে হানা দেওয়া থেকে কোভিড ১৯ ভাইরাসকে নাকি ঠেকিয়ে রাখে গাঁজা জাতীয় কিছু উপাদান।