‘মতুয়াদের ঠকিয়েছেন মমতা’, সিএএ নিয়ে ফের বিষ্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষে-র

0
689

আত্মজিৎ চক্রবর্তী, অশোকনগর: সিএএ রাজ্যে লাগু করার বল এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোর্টে ঠেললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । রাজ্যে বঞ্চিত মতুয়াদের থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৈরি করাটা বড় বিষয় বলে মত তাঁর। আর মতুয়াদের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস কী করেছে বলে এই দিন প্রশ্নও তোলেন তিনি। শুক্রবার অশোকনগরে এক দলীয় সভায় এসে তিনি এই কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণের বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবার মন্ত্রী হয়েছেন।জাহাজ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তিনি। স্বাভাবিক কারনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে মতুয়ারা সিএএ লাগু করার দাবি জানাবেই। দেখুন ভিডিও:

মতুয়াদের ঘরের লোক এবার কোন জাহাজে করে বাংলায় সি এএ নিয়ে আসে সেই দিকেই নজর সকলের। তারই মাঝে আজ অশোকনগরে এসে সি এএ লাগু করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যের কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা না পেলে কেন্দ্র সুবিধা মত নতুন নাগরিকত্ব আইন লাগু করবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে সারা ভারত মতুয়া মহা সংঘের সংঘাধীপতি তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সোচ্চার হয়ে ছিলেন রাজ্যে সিএএ লাগু করা নিয়ে।সেই সময় বেসুরো হওয়া শান্তনুকে শান্ত করতে ঠাকুর নগর ছুটে আসেন কৈলাশ বিজয়বর্গীও।আর বিধানসভা ভোটের আগে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বনগাঁর ঠাকুর নগরে সভা করে মতুয়াদের আশ্বস্ত করেন।

সেই সভায় তিনি বলেছিলেন রাজ্যে বিধানসভা ভোট মিটলেই নতুন নাগরিকত্ব আইনে মতুয়া সহ সকল উদ্বাস্তুু মানুষের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আর বিধানসভা ভোটে ইস্যুও হয়ে ওঠে এই নতুন নাগরিকত্ব আইন।কিন্তুু কেন্দ্রীয় সরকারের বিপরীতে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্কার ঘোষণা করেন এই রাজ্যে তিনি থাকতে কোন ভাবেই সিএএ লাগু করবেন না।তাঁর যুক্তি, বিভেদ সৃষ্টিকারী এই আইন দেশে কোনও প্রয়োজন নেই। মমতা বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে এই রাজ্যে বসবাসকারী মানুষ মাত্রই নাগরিক। আর যারা ভোট দিয়ে সরকার গড়েছে তাঁদের কাছে আবার নাগরিকত্বের প্রয়োজনীয়তাটাই বা কী?

এখানেও ফের দলের বেসুরোদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। অন্য গাছের ছালের সাথে তুলনা করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্যসাচী দত্তকে। তাঁর দাবি ভোটের আগে বহু আকাঙ্খা নিয়ে যারা দলে আখের গোছাতে এসেছিল তারাই ভুল বকছে। দল সবার বক্তব্যের দিকে নজর রাখছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের স্তরে পৌছলেই দল সঠিক ব্যবস্থা নেবে।রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বা সব্যসাচী দত্তের নাম নাম না নিয়ে তিনি এই কথা বলেন।

তবে বিধানসভা নির্বাচনে দলের পরাজয় নয় বরং সাফল্য দেখছেন তিনি। এবার বুথ স্তরের সংগঠন কে জোরালো করে পুর ও পঞ্চায়েত ভোটের দিকে এগোতে চাইছেন তাঁরা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Previous articleTET: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় স্বস্তি রাজ্যের, এসএসসি নিয়োগে আর বাধা নেই, স্থগিতাদেশ তুলে নিল হাইকোর্ট
Next articleহাড়িভাঙা আম পেয়ে আপ্লুত মমতা, এত আম পাঠিয়েছেন দু’ হাত ভরে বিলিয়েছি’, হাসিনাকে চিঠিতে লিখলেন মমতা ‘আগে কখনও খাইনি’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here