দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ নতুন করে তৈরি করা হয়েছে সংসদ ভবন। আগামী ১০ ডিসেম্বর এই নতুন ভবনের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা সব রাজনৈতিক দলের সাংসদদের। সরাসরি বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তাঁরা। এই নতুন সংসদ ভবনে লোকসভা কক্ষে থাকবে ৮৮৮টি আসন।
শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানান লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি বলেন, “আমরা স্বাধীনতার পরে পুরনো ভবনেই যাত্রা শুরু করেছিলাম। তাই স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করব তখন আমরা দুই কক্ষের অধিবেশনই নতুন ভবনে করব। এটা শুধুমাত্র ইঁট ও পাথরের একটি ভবন নয়, এটি ১৩০ কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণের জায়গা।”
বিড়লা আরও বলেন, এই নতুন ভবন ভারতের মানুষের বৈচিত্র্য, উন্নত সংস্কৃতির পরিচয় বহন করছে এবং শিল্পকলা ও আধুনিক সুবিধার দিকে তা সবথেকে উৎকৃষ্ট। স্পিকার বলেন, “পুরনো সংসদ ভবন ১০০ বছর পুরনো হতে চলেছে। তাই আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে ১৩০ কোটি মানুষের কাছে এটা গর্বের বিষয় যে আমরাই এই নতুন ভবন তৈরি করেছি। ১০ ডিসেম্বর ১টার সময় এই নতুন ভবনের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।” শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে সরকারিভাবে এই অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণও জানিয়েছেন স্পিকার।
নতুন এই সংসদ ভবনে লোকসভা কক্ষে রয়েছে ৮৮৮টি আসন। অন্যদিকে রাজ্যসভা কক্ষে রয়েছে ৩৮৪টি আসন। পুরনো ভবনে এই আসন সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫৪৩ ও ২৪৫। একসঙ্গে দুই কক্ষের অধিবেশনের সময় নতুন ভবনে লোকসভায় ১২২৪ জন সদস্য বসতে পারবেন। তবে নতুন ভবনে কোনও সেন্ট্রাল হল নেই।
৬৪ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটারের উপর তৈরি করা হয়েছে এই নতুন সংসদ ভবন। খরচ হয়েছে ৯৭১ কোটি টাকা। ভূমিকম্প প্রতিরোধী হিসেবে তৈরি করা হয়েছে এই ভবনকে। রয়েছে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা। প্রায় ২০০০ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে ও ৯০০০ মানুষ পরোক্ষভাবে এই ভবনের নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলেই জানিয়েছেন ওম বিড়লা। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের ২০০ শিল্পী এই নতুন ভবনকে সাজিয়ে তুলেছেন। নতুন ভবন চালু হওয়ার পরে পুরনো ভবনকে ভারতের পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষিত করে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার।