লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ-প্রস্তুতির নির্দেশ চিনা প্রেসিডেন্টের

0
374

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা এখনও কমেনি দু’পক্ষের সেনা মোতায়েনও রয়েছে৷ ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদের মধ্যেই দেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। একই সঙ্গে সেনা জওয়ানদের দেশের প্রতি বিশ্বস্ত থাকারও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। চিনা সংবাদসংস্থা জিনহুয়াকে উদ্ধৃত করে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন উত্তেজনার মধ্যে জিনপিংয়ের এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।

রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার চিনের গুয়াংডং-এ একটি সেনা ঘাঁটিতে যান প্রেসিডেন্ট জিনপিং। পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)-র মেরিন কোরের উদ্দেশে নিজের বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানেই বাহিনীর সদস্যদের যুদ্ধের জন্য নিজেদের যাবতীয় শক্তি সঞ্চয় করে রাখার পরামর্শ দেন এবং মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে বলেন। একইসঙ্গে বাহিনীকে চূড়ান্ত সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেন চিনা প্রেসিডেন্ট। জিনহুয়ার রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট জিনপিং পিএলএ-কে নির্ভরযোগ্য ও দেশের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার পরামর্শ দেন। বাহিনীর ক্ষমতা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, সামরিক পরিকাঠামো বৃদ্ধি করার পাশাপাশি একযোগে একাধিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার মতো দক্ষতা যাতে বাহিনীর থাকে, সেই পরামর্শও দেন জিনপিং৷

প্যাংগং লেক-সহ পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে চিনের চোখে চোখ ভারতের। লালফৌজের পাশাপাশি লাদাখে শীত-যুদ্ধেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। শীতেও সেনা মোতায়েন রাখার জন্য, প্রতিদিনই সীমান্তে রসদ পাঠানো হচ্ছে। তারই মধ্যে রফাসূত্র খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে দিল্লি ও বেজিং। মঙ্গলবারই সপ্তম দফার কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে দু’দেশের সেনার মধ্যে।

সেখানে ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এপ্রিলের আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে পিএলএ-কে। অর্থাৎ এপ্রিলের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চিনা বাহিনী যতটা ঢুকে এসেছে, তাদের ততটাই ফিরে যেতে হবে। আর চিনা বাহিনী যতক্ষণ না সরছে, ততক্ষণ ভারতীয় সেনাও প্যাংগং লেকের দক্ষিণ পাড়ের পাহাড় চূড়াগুলির দখল ছাড়বে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের কঠোর অবস্থানের জেরেই কি যুদ্ধের হুমকি দিয়ে রাখলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ,নাকি সবটাই মনঃস্তত্ত্বাকি যুদ্ধের কৌশল? দ্বিধায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা৷

Previous articleপুজোর পর বাংলায় আসবেন অমিত শাহ,জেপি নাড্ডা আসছেন তাঁর আগেই
Next articleহুগলি সামলাতে কড়া পদক্ষেপ দিদির

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here