দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গতকালই চন্দননগর মহকুমা শাসক দফতরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়ের মৃত্যুর ক্ষত রীতিমতো দগদগে। ৩৮ বছরের তরুণীর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা সংক্রমণ। ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই আরও একটি দুঃসংবাদ এল চন্দননগর থেকেই। মারা গেছেন ৩৪ বছরের তরুণী। ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
পেশায় স্কুল শিক্ষিকার ওই তরুণীর নাম সৌমি সাহা। বাড়ি চন্দননগর মুন্সিপুকুর এলাকায়। পোলবার কাশ্বারা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন সৌমি। মাস দেড়েক আগে বিয়ে হয় তাঁর। শেষ হয়ে গেল সব।
জানা গেছে, কয়েক দিন ধরেই জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন ওই শিক্ষিকা। শিক্ষিকার বাবাও করোনা পজিটিভ ছিলেন। চন্দননগর হাসপাতালে চিকিৎসা করান তাঁরা। চিকিৎসকের পরামর্শে হোম আইসোলেশনে ছিলেন। হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ব্যান্ডেলের ইএসআই কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হন সৌমি।
আজ মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।গতকালই দমদম লিচুবাগানের বাসিন্দা দেবদত্তা রায় মারা যান কোভিডে। রবিবার শ্রীরামপুর শ্রমজীবী কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সোমবার সকাল পৌনে ন’টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। চন্দননগর মহকুমা শাসকের দফতরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত ছিলেন দেবদত্তা রায়। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের আবহ চন্দননগর মহকুমা শাসকের দফতরে।
২০১১ ব্যাচের ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) অফিসার ছিলেন দেবদত্তা। পুরুলিয়া ২ ব্লকের বিডিও ছিলেন। সেখান থেকেই বদলি হয়ে এসেছিলেন চন্দননগর মহকুমায়। জানা গেছে, পরিযায়ী শ্রমিক যাঁরা ডানকুনিতে আসছিলেন তাঁদের থাকা খাওয়া ও রাখার ব্যবস্থা করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সামলেছিলেন এই তরুণী আধিকারিক। তারপর নিজেই করোনায় আক্রান্ত হন। চার বছরের ছেলেকে রেখে চলে গেলেন চিরতরে।
এই ঘটনার ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই মারা গেলেন আরও এক তরুণী সৌমি সাহা। ৩৪ বছরের এই শিক্ষিকার মৃত্যুতে শোক তো বটেই, সেই সঙ্গে বেড়েছে আতঙ্কও। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি যুবক বয়সেও করোনার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে!