করোনা সারাতে চার আয়ুর্বেদিক ওষুধের ট্রায়াল শুরু হবে সাত দিনের মধ্যে,ঘোষণা আয়ুষ মন্ত্রকের

0
1820

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনার চিকিৎসায় আয়ুর্বেদ ও হোমিওপ্যাথিতে বড় ভরসা রাখছে কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রক এবং কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চও (সিএসআইআর)। সংক্রমণ সারাতে আয়ুর্বেদিক ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কথা আগেই বলেছিল আয়ুষ মন্ত্রক। আজ, শুক্রবার কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক টুইট করে জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই চার আয়ুর্বেদিক ওষুধের কম্বিনেশন ট্রায়াল করা হবে। এই ট্রায়ালের দায়িত্বে থাকবে সিএসআইআর।

করোনা প্রতিরোধে দেশের সনাতন আয়ুর্বেদিক ওষুধগুলির গবেষণা শুরু হয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রক জানিয়েছে, অশ্বগন্ধা, যষ্টিমধু, গুড়ুচি পিপলি বা গুলঞ্চ এবং আয়ুষ ৬৪—এই চার আয়ুর্বেদিক ওষুধ করোনার প্রতিষেধক হতে পারে। এই চার ওষুধের মিশ্রণ প্রোফাইল্যাক্টিক ড্রাগ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ যাঁরা করেন যেমন ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, প্যারাডেমিক্যাল স্টাফ, তাছাড়া করোনা মোকাবিলায় জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের প্রথম এই আয়ুর্বেদিক প্রতিষেধক দেওয়া হবে। পরে করোনা রোগীদের উপর ট্রায়াল করা হবে।

কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক বলেছেন, “আমি আশা করছি করোনা প্রতিরোধে দেশের সনাতন আযুর্বেদ বড় ভূমিকা নিতে পারে। চার ওষুধের কম্বিনেশনের ট্রায়াল শুরু হবে আর এক সপ্তাহের মধ্যেই।”

পেটের যে কোনও সমস্যা, আলসার, পাকস্থলীর সংক্রমণ বা প্রদাহজনিত রোগ, ব্রঙ্কাইটিস সারাতে যষ্টিমধু ব্যবহার করা হয়। গুড়ুচি পিপলি বা গুলঞ্চ লতার ভেষজ গুণ অনেক। এই গাছের রসে আছে অ্যান্টি-অকসিডেন্ট, অ্যান্টি-হাইপার গ্লাইসেমিক, অ্যান্টি-অ্যালার্জিক, অ্যান্টি-নিওপ্লাস্টিক, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। আয়ুর্বেদ বিজ্ঞানে অশ্বগন্ধার বহুগুণের কথা বলা হয়েছে। এর মূল ও পাতা স্নায়বিক রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া বহু রোগের দাওয়াই হতে পারে অশ্বগন্ধা। আর আয়ুষ ৬৪ হল ম্যালেরিয়ার ওষুধ। তবে অন্য তিন ওষুধের সঙ্গে মিশ্রণে আয়ুষ ৬৪ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কাজ করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।

করোনা ঠেকাতে আয়ুর্বেদের পাশাপাশি হোমিওপ্যাথির থেরাপির কথাও বলেছে আয়ুষ মন্ত্রক। করোনার প্রতিষেধক সেভাবে বলা না গেলেও সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা শুরু হয়েছে দেশজুড়েই। কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রক ও সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব হোমিওপ্যাথি (CCRH) যৌথ উদ্যোগে হোমিওপ্যাথি ওষুধ আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ বা আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ সিএইচ (Arsenicum album 30CH)-এর ট্রায়াল চলছে মহারাষ্ট্রের পুণে ও মুম্বই, গুজরাট, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে।

Previous articleপথ দুর্ঘটনায় দুই রাজ্যেমৃত ১৪ পরিযায়ী শ্রমিক
Next articleতিন বছরের জন্য সাধারণ মানুষও কাজ করতে পারবেন সেনাবাহিনীতে বেনজির পদক্ষেপ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here