কোভিড হটস্পটগুলিতে লকডাউন থাকবে, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর

0
2557

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে না গেলেও দুশ্চিন্তা রয়েছে হটস্পটগুলি নিয়ে। ওই সব এলাকায় এখনও সংক্রমণের হার বাড়ছে।  ৩ মে-র পরেও হটস্পট এলাকা তথা জেলাগুলিতে লকডাউন অব্যাহত থাকবে বলে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার বেলা ১১ টা থেকে ওই বৈঠক শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, অন্তত পাঁচটি রাজ্যও হটস্পট এলাকায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষেই সওয়াল করেছেন।

বস্তুত এই সম্ভাবনার মধ্যে নতুন কোনও রহস্য বাকি নেই। বরং এমনটাই যে ভবিতব্য তা অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন। কারণ, হটস্পট জেলাগুলিতে প্রতিদিনই নতুন আক্রান্তের খবর আসছে। মুম্বইয়ের কথাই ধরা যাক। এই মহানগরী রাজ্যের অন্যতম হটস্পট জেলা। এমনিতেই প্রতিদিন মহারাষ্ট্রে নতুন আক্রান্তদের যে সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে, তার ৮০ শতাংই মুম্বইয়ের বাসিন্দা। কারও উপসর্গ রয়েছে। কারও উপসর্গ থাকলেও তা তীব্র নয়। ফলে লকডাউন উঠে গেলে সংক্রমণ আরও বেশি হারে ছড়ানোর আশঙ্কা থাকবেই।

মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, তামিলনাডু, কর্নাটক, দিল্লি, ওড়িশার মতো রাজ্যগুলি এই ভয়টাই পাচ্ছে। যে লকডাউন উঠে গেলে হটস্পট জেলাগুলিতে সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটে পারে। তখন একসঙ্গে এতো মানুষকে আইসোলেশনে রাখা, চিকিৎসা করা কঠিন কাজ হয়ে পড়বে।

এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন কিনা তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে অন্তত পাঁচটি রাজ্য পরিষ্কার ভাবে লকডাউনের  মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে।

এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলির উদ্দেশে বলেন, রেড জোনগুলিকে অরেঞ্জ জোন এবং অরেঞ্জজোন গুলিকে গ্রিন জোনে আনার কাজ করতে হবে। অনেকের বক্তব্য, গ্রিন জোনে না যাওয়া পর্যন্ত সেই এলাকায় যে লকডাউন জারি থাকবে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট।

মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মোদী আরও বলেন, গত দেড় মাসে লকডাউনের ফলেই কয়েক হাজার জীবন বাঁচানো গেছে। তাঁর কথায়, ‘দো গজ দুরি’কে মন্ত্র করে নিতে হবে। সামনের মাস থেকে মাস্ক এবং মুখ ঢাকার বিষয়টি যাতে নাগরিক জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে সে ব্যাপারেও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।

লকডাউনের ফলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেই চাকা ঘোরাতে সচেষ্ট কেন্দ্রীয় সরকার দ্বিতীয় দফার লকডাউনে গত ২০ এপ্রিল থেকে শর্তসাপেক্ষে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলেন, “আমরা অর্থনীতিতে গুরুত্ব দেব ঠিকই। কিন্তু একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধেও লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”

Previous articleএই কঠিন সঙ্কটে দুর্দান্ত পরিষেবা দেওয়ার জন্য কলকাতা পুলিশকে ধন্যবাদ জানালেন সৌরভ
Next articleডাবলিং রেট কমবে লকডাউনের পর,মে মাসের মাঝামাঝি ৬৫ হাজারে পৌঁছতে পারে আক্রান্তের সংখ্যা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here