দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানপাট চাইলে ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখতে পারেন দোকানমালিকরা।
বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই ঘোষণা করলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল। দিল্লি সরকার একটি হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছে যেখানে আবেদন করলে হোয়াটস্অ্যাপেই ই–পাস পেয়ে যাবেন অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বিক্রেতারা।
কেজরিওয়াল দিল্লি পুলিশকে আবেদন করেন, পাস না থাকলেও যেন ওই সব বিক্রেতা বা সরবরাহকারীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কেজরিওয়াল আরও জানালেন, ই–কমার্স কোম্পানিগুলোর একটা তালিকা তৈরি করছে দিল্লি পুলিশ, যাদের রাজধানীতে এই মুহূর্তে জিনিসপত্র সরবরাহে অনুমতি দেওয়া হবে।
দিল্লি সরকারের তরফেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দিল্লির একটি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক সপরিবারে কোভিড–১৯ আক্রান্ত। ওই কলোনির কমপক্ষে ৯০০জনকে কোয়ারানটাইন করা হয়েছে।
এরপরই দিল্লিবাসীর মনে আতঙ্ক ছড়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যে সব কটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রই বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেব্যাপারে বাসিন্দাদের পূর্ণ আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোনও স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রই বন্ধ হবে না। চিকিৎসক, নার্স, এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্য করতে আবেদন করে কেজরিওয়াল বলেছেন, ওই সব পেশার মানুষদের সুরক্ষার দিকটাও লক্ষ্য রাখছে প্রশাসন।
দিল্লিতে এপর্যন্ত আক্রান্ত ৩৬জনের মধ্যে ২৬জনই বিদেশ থেকে এসেছিলেন এবং বাকি ১০জন তাঁদের সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হয়েছেন। জানালেন কেজরিওয়াল।