দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে সোমবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সমাবেশ ডেকেছিল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। সেই সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে দলীয় কর্মীদের সাহসী হতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, যদি দলের কর্মীরা সাহস দেখান, তবে তিনি দুঃসাহস দেখাবেন।
এ দিন মমতা বলেন, “আপনারা সাহসী হোন। আমি আপনাদের সঙ্গে দুঃসাহসী হব। আমি সাহসী লোকজনকে পছন্দ করি। আর যদি সাহস না দেখিয়ে ভয়ে গুটিয়ে যান, তাহলে আমাকে পাশে পাবেন না।” রেল, কয়লা, বিএসএনএল, ব্যাঙ্ক-সহ বিভন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থায় নরেন্দ্র মোদী সরকার যা ইচ্ছে তাই করছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। সে কথা বলতেই মুখ্যমন্ত্রী এ দিন এনআরসি প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, বাংলায় আতঙ্কে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। কেউ ভয় পাবেন না। আমরা তো আছি নাকি। আমরা তো মরে যাইনি।
গত সপ্তাহে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এনআরসি নিয়ে কোনও কথা হয়নি। কারণ, ওটা অসমের ব্যাপার। তারপর ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। তৃণমূল কর্মীরাই এনআরসি নিয়ে দলের অবস্থান সম্পর্কে সংশয়ে পড়ে যান। কিন্তু এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এনআরসি ইস্যুতে তিনি শেষ দেখে ছাড়বেন।
নেতাজি ইনডোরের জনসভায় মমতা বলেন, “ভোটার লিস্টে নাম না উঠলে দলের কর্মীদের বলবেন। না তুললে দিদিকে বলোতে বলবেন। ঘাড় ধরে তোলাব। নিজের জীবন নষ্ট করবেন না। বিহারের চিফ মিনিস্টার বলে দিয়েছে বিহার মে নেহি হোগা। সব কিছু অত সস্তা নয়।” দিল্লির দিকে আঙুল তুলে মমতা বলেন, “সন্ত্রাসী উন্মত্ততার দানবীয় তাণ্ডব চলছে। লড়তে হবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে।”
মমতা এ দিন কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে কর্মসূচিও ঠিক করে দিয়েছেন। ২৬ সেপ্টেম্বর কাশীপুর গানসেল ফ্যাক্টরি এবং ২৭ তারিখ ডালহৌসীতে কোল ইন্ডিয়ার সামনে অবস্থান করবে তৃণমূল। ১৮ অক্টোবর শিয়ালদহ থেকে ফেয়ারলি প্লেস পর্যন্ত মিছিল করবে শাসক দল। হাঁটবেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংসদদের দায়িত্ব দিয়েছেন দিল্লিতে ধর্না আয়োজন করার। মুম্বই এবং চেন্নাইতেও ধর্না হবে বলে জানান তৃণমূল নেত্রী।