দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃঠাকুরমা’র ঝুলির ‘কাঁকণমালা, কাঞ্চনমালা’ গল্পে রয়েছে ‘পিট-কুড়ুলির ব্রত’-র কথা, রাজ্যে পিঠা বিলানোর অনুষ্ঠান। রাণীকে চালের গুড়োয় আঙ্গিনায় আলপনা দিয়ে পিড়ি সাজিয়ে দিতে হয়, দাসীরা পিঠের যোগার-যাগাড় করে। রাণী রূপী দাসী তৈরি করেন আস্কে পিঠা, চাস্কে পিঠা আর ঘাস্কে পিঠা; দাসী বানান চন্দ্রপুলি, মোহনবাঁশী, ক্ষীরমুরলী, চন্দনপাতা। দাসী চালের গুঁড়োয় খানিকটা জল মিশিয়ে এতটুকু নেকড়া ভিজিয়ে পদ্ম আঁকলেন, পদ্ম-লতার পাশে সোণার সাত কলস আঁকলেন; কলসের উপর চূড়া, দুই দিকে ধানের ছড়া, ময়ূর, পুতুল, মা লক্ষ্মীর সোনা পায়ের দাগ।

সংক্রান্তির পূর্বদিন অনেক স্থানে ভাজা পিঠে হয়; তা সেদিন ও পরদিন সকালে খাওয়া হয়। সংক্রান্তির দিন তৈরি হয় নানান পিঠে, সেগুলি সেদিন ও পরদিন খাওয়া হয়। পৌষ পার্বণের পরদিনও পিঠে তৈরি হয় যা তার পর দিন পর্যন্ত খাওয়া হয়। এইভাবে গ্রাম বাংলায় পরপর চারদিন পিঠে উত্‍সব ও ভোজনের রীতি মেনে-

শনিবার রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী উত্তর২৪পরগনার হাবড়া হিজলপুকুরিয়ার সবুজ সংঘের ময়দানে পিঠে পুলি উৎসবে যোগ দিয়ে স্থানীয় মানুষের সাথে নানা স্বাদের পিঠে নিজে খেলেন এবং খাওয়ালেন অনেক কেই৷হাবড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নীলিমেশ দাশ জানান তিন দিন ধরে চলবে এই উৎসব৷ এলাকার মানুষ এর উৎসাহে মুলত প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এই উৎসব প্রাঙ্গণ৷কয়েক হাজার মানুষ মেতে ওঠেন পিঠে পুলিউৎসবে৷ স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠির মহিলারাই মোট ২৪টি স্টলে তৈরী করছেন বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু পিঠে আর সেই সব পিঠে ১০থেকে ২৫টাকা দাম দিয়ে কিনে খাওয়ার জন্য দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসছেন খাদ্য রসিক বাঙালি৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here