দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নারদ মামলায় হলফনামা জমা দেওয়া নিয়ে কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি হেমেন গুপ্তর বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু এদিন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নারদ মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বিচারপতি হেমেন গুপ্ত দেশের প্রধান বিচারপতি এমভি রামানার কাছে আবেদন জানিয়েছেন পৃথক বেঞ্চ গঠন করার।

মঙ্গলবার যদি পৃথক বেঞ্চ গঠন হয় তাহলে এদিন সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে এই শুনানি হতে পারে। তা না হলে অন্য দিন তা হবে বলে আদালত সূত্রের খবর।

নারদ মামলার শুনানির পাশাপাশি বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে সেই বেঞ্চ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। গত সপ্তাহেই বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার সেই একই পথে হাঁটলেন বিচারপতি বসুও।

দীর্ঘদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন অনিরুদ্ধ বসু। পদোন্নতি হওয়ার পর তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন।আইনজ্ঞদের মতে, যেহেতু বিচারপতি অনিরুদ্ধ বাংলার মানুষ সেহেতু মামলার নিরপেক্ষতা নিয়ে যাতে প্রশ্ন না ওঠে সে কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সম্প্রতি নন্দীগ্রাম গণনা মামলার ক্ষেত্রেও বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। কুণাল ঘোষ, ডেরেক ও’ব্রায়েনরা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিজেপির মঞ্চে বিচারপতি চন্দের ছবি টুইট করে লিখেছিলেন, এই বিচারপতির কাছে কি নিরপেক্ষ বিচার পাওয়া সম্ভব?


অতীতেও বহু মামলায় নিরপেক্ষতার প্রশ্নে বহু বিচারপতিরা সরে দাঁড়িয়েছেন। সারদা, নারদ মামলাতেও সেই ঘটনা দেখা গিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এবার সেই একই ঘটনা ঘটল সুপ্রিম কোর্টে। এখন দেখার, দেশের প্রধান বিচারপতি মমতার হলফনামা মামলা শোনার জন্য পৃথক কী বেঞ্চ গঠন করেন। সেখানে বিচারপতি হেমেন গুপ্তের সঙ্গে আর কোন বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার মামলার শুনানি  সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে হওয়ার কথা থাকলেও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু নিজেকে সরিয়ে নিলেন৷ এরআগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন অনিরুদ্ধ বসু। নারদ মামলা দেখে এদিন নিজেকে তিনি সরিয়ে নেন। এদিকে মূলত নারদা মামলায় নিজের বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগের জবাব দিতেই হলফনামা জমা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ হাইকোর্টে তা খারিজ করায় তিনি শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হন৷ ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর দায়ের করা মামলার পরিপেক্ষিতে নারদা তদন্ত নয়া মোড় নেবে৷ 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here