দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ক্রমশই অবনতি হচ্ছে গোটা বিশ্বের করোনা পরিস্থিতির। বিশ্বে প্রায় ৫ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত প্রায় ১৩ লাখ। বৃহস্পতিবারই দেশে প্রথম করোনা-আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে কর্নাটকে। শুক্রবারই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫। তবে আশার কথা, বাংলায় এখনও থাবা বসাতে পারেনি করোনাভাইরাস। তবে সতর্কতায় কমতি নয়, শুক্রবার ফের একবার এই বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
আজ নেতাজি ইন্ডোরে আইলিগজয়ী মোহনবাগান দলকে সম্মান জানানোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠান থেকেই করোনা থেকে সতর্ক থাকতে একগুচ্ছ পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, ‘সর্দি-কাশি হলে ভয় পাবেন না। সব ভাইরাসই করোনা নয়। যেমন, সব মশা ডেঙ্গির নয় আর সব মাছ ইলিশ নয়। তবে সতর্কতা মেনে চলবেন। আপনার হাঁচি-কাশি অন্যের জন্য সমস্যা না হয়। কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে হাঁচুন। কারোর মুখের সামনে গিয়ে কথা বলবেন না। বরং ন্যূনতম ৫ মিটারের দূরত্ব বজায় রাখুন। করোনা না যাওয়া পর্যন্ত কারোর সঙ্গে হাত মেলাবেন না, নমস্কার করবেন।’
এছাড়াও ‘সাধ্যমত’ পরিচ্ছন্ন থাকতেও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিভাবকের মতোই বুঝিয়ে বলেন, ‘আধঘণ্টা অন্তর অন্তর একটু হলেও জল খান। ভালো করে রান্না করে খাবার খান। হাত, নখ, কনুই পর্যন্ত পরিষ্কার করুন। স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। সর্দি-কাশির পর যদি টিস্যু ব্যবহার করেন, তবে তা ঘরে ফেলবেন না। ডাস্টবিনে ফেলুন।’
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এখনও এক জনের শরীরেও মারণ-ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েনি। যদিও এখনও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ৫ জন করোনা-সন্দেহে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। শুক্রবার তাঁদের মধ্যে ৩ জনের সোয়াব নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এখনও পর্যন্ত বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মোট ৫৪ জনের সোয়াব নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
তবে কারোর ক্ষেত্রেই রিপোর্ট পজিটিভ না আসায় দেশের অনেক রাজ্যের চেয়ে বেশ কিছুটা স্বস্তিতেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ৷ যদিও সতর্কতায় ঢিলেমি দিতে নারাজ রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা। এ যাবৎ মোট ২০৬৩ জনকে ঘরবন্দি অবস্থায় নজরদারি বা হোম সার্ভিলেন্সে রাখা হয়েছে।