দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার বিধাননগরের মেয়র তথা রাজারহাটের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তর সল্টলেকের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। মুখে সৌজন্য সাক্ষাৎ বললেও শাসক দলের ভিতরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন বিধাননগরের সব কাউন্সিলরদের নিয়ে রবিবারই শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ে মিটিং করবেন। আর এর মধ্যেই শনিবার রাতে গোলাগুলি চলল সল্টলেকের মহিষবাথানের মিনতি সংঘে। অনেকে মনে করছেন, বিধাননগরের বিধায়ক তথা দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এবং সব্যসাচীর গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে দশ রাউন্ড গুলি চলেছে। আহত হয়েছেন পাঁচ জন। সব্যসাচীর অনুগামী বলে পরিচিত বিধাননগরের কাউন্সিলর ক্ষিতীশ মণ্ডলের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুজিত-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর জয়দেব নস্করের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের একাংশের মতে, ওই ক্লাবটি সব্যসাচী অনুগামীরাই চালান। মধ্যরাত পর্যন্ত গ্রেফতারির কোনও খবর নেই।


অনেকেই ধারনা করছেন, মুকুল রায় সব্যসাচীর সঙ্গে দেখা করার পরই তৃণমূল মাথার উপর থেকে হাত সরাতে শুরু করে দিয়েছে। তাঁদের কথায়, এই আশঙ্কা ছিলই। শনিবার তাই সত্যি হলো। প্রসঙ্গত, রাজারহাট ও নিউটাউনের দখল নিয়ে সুজিত-সব্যসাচী-কাকলি ঘোষদস্তিদার-তাপস চ্যাটার্জীদের লড়াই সারা বছরই লেগে থাকে । পর্যবেক্ষকদের মতে, দলের সঙ্গে সব্যসাচীর দূরত্ব বাড়তেই ময়দানে নেমে পড়েছে সুজিত গোষ্ঠী। এখন দেখার রবিবার শ্রীভূমি থেকে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেন কি না মমতা। আর এই কোন্দল আর কতদূর যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here