দেশের সময়: রাজ্যের ষষ্ঠ দফার নির্বাচন শেষ। প্রার্থীরা এখন নিজেদের ভাগ্যফল এর উপরে অপেক্ষা করে আছেন। ২ মে ভোট গণনা। এখন সেই দিনের জন্যই তাকিয়ে থাকতে হবে তাদেরকে।
বনগাঁ মহকুমার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের মোট প্রার্থী সংখ্যা ৩০। তাদের মধ্যে কোথাও তৃণমূল-বিজেপি, কোথাও সংযুক্ত মোর্চা, আবার কোথাওবা নির্দল প্রার্থীরা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। ভোটের দিন যে যার মতো করে তাদের পক্ষে ভোট করানোর চেষ্টা করেছেন নিয়ম মেনে। তবে ভোটবাক্সে কতটা তার পক্ষে ভোট পড়েছে, তারই এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে।
বাগদার বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস গোপালনগর এর বাসিন্দা। নির্বাচনের কারণে নাম ঘোষণার পর থেকেই তার অস্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বাগদা। আজকের দিন পর্যন্ত তিনি সেখানে রয়েছেন। দীর্ঘ বেশ কিছুদিন পর আগামীকাল শনিবার নিজের বাড়িতে নিজের পরিবারের কাছে ফিরবেন বলে জানালেন। এখানকার বাকি দুই প্রার্থী তৃণমূলের পরিতোষ সাহা এবং সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে কংগ্রেস প্রার্থী প্রবীর কীর্তনীয়া বাগদারই বাসিন্দা।
‘ বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলপ্রার্থী আলোরাণী সরকার কাঁচরাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনিও নির্বাচনের কারণে গাইঘাটার মন্ডলপাড়ার অস্থায়ী বাসিন্দা হয়ে উঠেছেন। শুক্রবার স্ট্রং রুমের পরিস্থিতি দেখতে এসেছিলেন তিনি। বললেন, টানা ভোট প্রচারে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে এখন ক্লান্ত। কয়েকটা দিন বিশ্রাম প্রয়োজন। এখন ২ তারিখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন, জেতার ব্যাপারে তিনি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত।
:এই কেন্দ্রে তার বিরোধী বিজেপির স্বপন মজুমদার এবং সংযুক্ত মোর্চার পক্ষের সিপিআইএম প্রার্থী তাপস বিশ্বাস দুজনেই শক্তপোক্ত প্রতিপক্ষ। বনগাঁ উত্তরের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এই কেন্দ্রে বিজেপির অশোক কীর্তনীয়া, তৃণমূলের শ্যামল রায়, সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে সিপিআইএমের পীযূষ কান্তি সাহা আশাবাদী জয়ের ব্যাপারে। বর্ষিয়ান প্রার্থী শ্যামল রায় নির্বাচনের কারণে বেশ কিছুদিন ব্যস্ত থাকায় নিজের হাতে বাজার করতে পারছিলেন না। শুক্রবার সকালে তাই থোলে নিয়ে ঢুকে পড়েন গোপালনগরের বাজারে। ইচ্ছামত বাজার করলেন। পরিচিতদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ও করলেন।
গাইঘাটার সুব্রত ঠাকুর, নরোত্তম বিশ্বাস, কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর প্রত্যেকেই স্থানীয়। তাদের সঙ্গে সমানতালে নির্বাচনী লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলেন নির্দল প্রার্থী ডাক্তার সজল বিশ্বাস। বড় দলের এই প্রার্থীদের পরাজিত করে তিনি জয়ী হচ্ছেন, এ ব্যাপারে ১০০ শতাংশ বিশ্বাস রয়েছে সজল বিশ্বাসের মনে।
হাবরা বিধানসভার দুই হেভিওয়েট প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং রাহুল সিনহা দুজনেই বহিরাগত। নির্বাচনের কারণে তারা গত বেশ কয়েকদিন ধরে পরিবার ছেড়ে হাবরাতেই আস্তানা নিয়েছিলেন। দীর্ঘ কয়েক দিনের ধকল সামলে আবার পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অশোকনগরের নারায়ন গোস্বামী বারাসাতের বাসিন্দা। তারও অস্থায়ী ঠিকানা হয়ে উঠেছে অশোকনগর। নিজের টিম নিয়ে এ কদিন একটানা লড়াই চালিয়ে গেছেন। এখন বিশ্রাম এর পালা। বিরোধী দলের তনুজা চক্রবর্তী এবং তাপস ব্যানার্জি স্থানীয়। তারা প্রত্যেকেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এখন দেখার বিষয় ২ মে কার কার আশা পূরণ হয়।
বনগাঁ মহকুমার প্রার্থীদের ভাগ্য বন্দি এখন বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের স্ট্রংরুমে।