দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়নের কথা হয়তো অনেক আগেই দিদিকে বলেছেন প্রশান্ত কিশোর। শুভেন্দুর সঙ্গে অন্তত দু’বার আলাদা করে বসেছিলেন তিনি। তখনও হয়তো অনেক কথাই বলেছেন। কিন্তু বাইরে কখনও কিছু বলতে শোনা যায়নি।
বুধবার এই প্রথম, শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়নের কথা খোলাখুলিই জানালেন প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। এদিন এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “ওঁর অবশ্যই রাজনৈতিক উচ্চতা রয়েছে। উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকা ভাল। কিন্তু নিজের ওজন সম্পর্কে ভ্রম থাকা উচিত নয়। কখনও কখনও উচ্চাকাঙ্ক্ষার বশে কেউ মনে করতে পারে, দলের সাময়িক ক্ষতিতে তার বৃহত্তর ভাল হতে পারে। কিন্তু তা হয় না।”
এ কথা বলেই প্রশান্ত কিশোর মেদিনীপুরের সভায় শুভেন্দুর বক্তৃতার অংশ উদ্ধৃত করেন। প্রশান্ত বলেন, “উনি নিজেই বলেছেন যে ২০১৪ সাল থেকে তিনি অমিত শাহর সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছেন। এখন কেউ যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় নিজেকে রাখেন, তা হলে কি মনে হবে না যে তাঁকে ঠকানো হয়েছে!”
প্রশান্ত এও বলেন, “এটা ঠিক যে উনি দলের যুব সভাপতি পদে ছিলেন। তাঁকে সেই পদ থেকে সরানো হয়েছে। কিন্তু তার পর তাঁকে দলে বৃহত্তর দায়িত্ব দেওয়া হয়।”
প্রশান্তকে জিজ্ঞেস করা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি জানতেন না যে শুভেন্দু বিজেপি তথা অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তা হলে আগেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি কেন?
জবাবে পিকে বলেন, “আমরা অবশ্যই জানতাম। সেই কারণেই তাঁর সাংগঠনিক দায়িত্ব কমানো হয়েছিল। আমরাই সত্যি প্রমাণিত হয়েছি।”
মেদিনীপুরের সভায় শুভেন্দু বলেছিলেন, “চোদ্দ সালের ভোটের পর নয়াদিল্লির অশোক রোডে অমিত শাহর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল। তবে তিনি কখনওই তাঁকে সেদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা বলেননি।”
এদিন প্রশান্ত কিশোরের এই বক্তব্য শুনে প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় বলেন, “শুভেন্দু তখন লোকসভার সাংসদ ছিলেন। অন্য দলের নেতার সঙ্গে কি সাক্ষাৎ করা অন্যায়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তো বিজেপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সে সব কথা বললে কি এখন ভাল লাগবে? কবে কোথায় কী কী কারণে তা তো আমারও জানা রয়েছে।”