দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ক্যালেন্ডারে শ্রাবণ মাস হলেও অনুভূতিতে মনে হচ্ছে শরৎকাল। একদিকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি নেই, অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ প্রায় ভেসে যাচ্ছে।
এবার বর্ষা শুরু হয়েছে দেরিতে। তারপরও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি তেমন একটা হয়নি। এর কারণে জেলায় জেলায় তৈরি হয়েছে বৃষ্টি–ঘাটতি। হাওড়ায় এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি কম হয়েছে ৮১ শতাংশ। এছাড়া কলকাতায় ৬৫, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬৪, বাঁকুড়ায় ৬২ শতাংশ বৃষ্টি–ঘাটতি রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও ২৬ থেকে ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত বৃষ্টি ঘাটতি রয়েছে। সব মিলিয়ে দক্ষিণবঙ্গে এখনও পর্যন্ত কম বৃষ্টি হয়েছে ৫৫ শতাংশ। রাজ্যে ঘাটতি ৩৬ শতাংশ।
অবশেষে স্বস্তির খবর দিল হাওয়া অফিস। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা যেমন মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, মেদিনীপুর, ঝড়গ্রাম-সহ বেশ কিছু জেলায় জেলায় বৃষ্টির পূ্র্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

এক নজরে:

  • শুক্রবার নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে একটি নিম্নচাপের উদয় হওয়ার সম্ভাবনা।
  • আর তার হাত ধরেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির খরা কাটতে পারে। বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টিও হতে পারে উপকূলীয় জেলাগুলিতে।
  • ভালো বৃষ্টি হলে চাষির দুশ্চিন্তা কিছুটা কমবে। শ্রাবণে গরমের হাত থেকেও রেহাই মিলবে।

তবে, শুক্রবার নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে একটি নিম্নচাপের উদয় হওয়ার সম্ভাবনা। আর তার হাত ধরেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির খরা কাটতে পারে। বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টিও হতে পারে উপকূলীয় জেলাগুলিতে। ভালো বৃষ্টি হলে চাষির দুশ্চিন্তা কিছুটা কমবে। শ্রাবণে গরমের হাত থেকেও রেহাই মিলবে।
এই বছর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, বর্ধমান প্রভৃতি জেলার অবস্থা ভয়াবহ। হুগলি জেলায় ঘাটতি ৬২ শতাংশে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আষাঢ় মাসে বৃষ্টি একেবারেই মন ভরাতে পারেনি। শ্রাবণের শুরু থেকেও এক দশা চলছে। আকাশ দেখলে বোঝা দায়, মাসটা বর্ষার না শরতের। রোদে চৈত্রের তেজ। অনেক রাজ্যেই ভালো বৃষ্টি হওয়ায় দেশের সার্বিক ঘাটতি কমতে কমতে ১৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গ রয়েছে সেই তিমিরেই। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভরা বর্ষা তাই জোর কদমে চলছে আমন ধান রোপণের কাজ। কিন্তু বহু জায়গাতেই বীজতলা তৈরি করে বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে রয়েছেন কৃষকরা।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সপ্তাহের শেষে বাংলা লাগোয়া বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। ২৬ জুলাই সেটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপের রূপ নিতে পারে। তখন নিম্নচাপের টানে উত্তরবঙ্গ থেকে মৌসুমি অক্ষরেখাও নেমে আসবে দক্ষিণবঙ্গে। ফলে আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে নামবে বৃষ্টি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চেন্নাইতে বৃষ্টির জন্য জলবন্দি হয়ে যায় বিমান বন্দর, দীর্ঘক্ষন আটকে পরে বিভিন্ন উড়ান -ছবি- প্রদীপ দে৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here