দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার সকালের বিমানে রাজীব কুমার শিলং পৌঁছেছেন৷ উঠেছিলেন ত্রিপুরা প্যালেস হোটেলে। শনিবার সিবিআই-এর দেওয়া সময় মেনেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির দফতরে পৌঁছলেন কলকাতার নগরপাল। সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ সিবিআই দফতরে ঢোকেন তিনি। আজ শনিবার শিলংয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে কথা বলবে সিবিআই। তাঁর সঙ্গে গেছেন চারজন আইপিএস জাভেদ শামিম, মুরলীধর শর্মা, সুপ্রতিম সরকার ও অপরাজিতা রাই। এছাড়াও আরও কয়েকজন পদস্থ অফিসার আজ সকাল ১১টার পর সিবিআইয়ের সঙ্গে রাজীব কুমারের সারদা কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে কথা হবে। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের এসপি, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসাররা শিলং পৌঁছেছেন। সিবিআই সূত্রের খবর, নিরাপত্তার জন্য শিলংয়ের সিবিআই দপ্তরে কথাবার্তা চলাকালীন প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে শেষ মুহূর্তে ওকল্যান্ড ইস্ট খাসি হিলস ঠিকানার সিবিআই দপ্তরে জেরা না–ও করা হতে পারে। পূর্বাঞ্চলীয় যুগ্ম অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তব পৌঁছেছেন শিলংয়ে। জানা গেছে, শিলংয়ের দ্য হেরিটেজ ক্লাব
হোটেলে কলকাতার পুলিশ কমিশনার–সহ অন্য অফিসাররা উঠেছেন। রাজীব কুমারের থেকে যে যে বিষয় সিবিআই জানতে চায়, সে বিষয়ে ‘হোমওয়ার্ক’ শেষ হয়েছে। কথাবার্তা চলাকালীন রাজীব কুমারের বয়ান রেকর্ড করা হবে। দিল্লি থেকে যে সিবিআই অফিসাররা এসেছেন, তাঁরা ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় থাকবেন। পরে অন্য দল আসবে। রাজীব কুমারের সঙ্গে কথা বলে যা জানা যাবে, তা দিল্লির সদর দপ্তরে ও সুপ্রিম কোর্টকেও জানাবে সিবিআই। সূত্রের খবর, সিবিআই-এর কাছে রাজীব কুমারের আইনজীবী আবেদন জানিয়েছেন, ১১ তারিখের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করার জন্য। সিপি-র আইনজীবী নাকি জানিয়েছেন, ১২ তারিখ থেকে মাধ্যমিক শুরু। তাই আইন শৃঙ্খলার ব্যাপারটি যেন গোয়েন্দারা মাথায় রাখেন। ওই সময় শহরে পুলিশ কমিশনারের উপস্থিতি জরুরি। যদিও সিবিআই-এর তরফে এখনও এই আবেদনের কোনও জবাব দেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে শিলং -এর ওকল্যান্ডের সিবিআই অফিস। দফতর ঘিরে রেখেছে মেঘালয় পুলিশের বিরাট বাহিনী। এখন দেখার কতক্ষণ তাঁকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। কখন সিবিআই দফতরের বাইরে আসেন রাজীব কুমার। ছবি-সংগৃহীত/